একবিংশ শতাব্দীতে এসেও অনেক ধরনের অনিশ্চয়তা আমাদের ঘিরে আছে। গ্রহাণু বা ধূমকেতুর আঘাত। ছোট ধূমকেতু বা গ্রহাণুর ধেয়ে আসা প্রতিরোধ করতে পারলেও বড় গ্রহাণু বা ধূমকেতুকে কতটা পারব, তা আমরা এখনো জানি না। জানি না অনেক মহাজাগতিক বিপর্যয়ের কথা, বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছে জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তি।
পরমাণু বা নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ভয়
উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ থেকে বুঝতে পারি পরাশক্তি ছাড়াও অন্যান্য দেশের কাছে নিউক্লিয়ার শক্তি চলে যাচ্ছে। সবাই বলছে, পরাশক্তিগুলোর কাছে আমরা অনিরাপদ। সবাই তার নিজের দেশের জন্য ভাবছে, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে পৃথিবীর জন্য কারা ভাববে, পৃথিবীকে কারা বাঁচাবে?
প্রাযুক্তিক বয়ঃসন্ধিকাল
আধুনিক প্রযুক্তি ও পুরোনো ধারণা নিয়ে জীবনযাপন একধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। পরিবেশদূষণ, জলবায়ু বিপর্যয় শুধু আমাদের শরীরের ওপর নয়, আচরণের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।
সাংস্কৃতিক সংকট
দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশে গড়ে ওঠা সমাজের অনমনীয় অবস্থান। আমারটাই শ্রেষ্ঠ বা এটাই একমাত্র, এ রকম অবস্থানে থাকা। অথচ প্রত্যেক সংস্কৃতির ধারাই সমান্তরালভাবে পরস্পরকে ক্ষতি না করে এগিয়ে যেতে পারে এবং সমৃদ্ধ হতে পারে।
জীববিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নৈতিকতার বিকাশ না ঘটিয়ে মানুষ অতিপ্রাকৃতিক বা কাল্পনিক এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের ধারণার ওপর দাঁড় করিয়ে বিকাশ ঘটিয়েছে। ফলে আমরা যা নই, তা হতে গিয়ে একধরনের তীব্র মনস্তাত্ত্বিক সংকট তৈরি হচ্ছে।
গ্রহাণু, ধূমকেতুর আঘাত, পরমাণু যুদ্ধের ভয়, সাংস্কৃতিক সংকট, প্রাযুক্তিক বয়ঃসন্ধিকাল, চাহিদা ও সরবরাহের মারাত্মক বিকাশ, নৈতিকতার মানদণ্ডের বিভ্রান্তি নিয়ে ৫০০ কোটি বছরের পৃথিবীতে মাত্র শত বছর ধরে গড়ে উঠেছে একটি প্রযুক্তিসম্পন্ন সভ্যতা। উপরিউক্ত সমস্যাগুলোর নিরিখে এ কথা প্রশ্নাতীত নয়, আগামীকাল আমরা আমাদের ধ্বংস করে ফেলব না। ধরি, এটা প্রায়ই ঘটে, এতটাই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয় যে আরেকটি প্রযুক্তিসম্পন্ন সভ্যতা মানবপ্রজাতি বা অন্য প্রজাতি ৫০০ কোটি বছর অথবা ওই সূর্যের ধ্বংসের আগপর্যন্ত নতুনভাবে উঠে আসতে পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।