Black holes collisions বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বিস্তারিত গবেষণা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এ গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে মহাবিশের প্রসারণ সম্পর্কে নতুন তথ্য লাভ করা এবং পাশাপাশি ডার্ক এনার্জির রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করা।
মহাবিশ্বের এখনো অনেক রহস্য রয়েছে যা আমাদের কাছে অজানা। বিজ্ঞানেরা তাই এসব রহস্য খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্ল্যাক হোলের সাথে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ এর সম্পর্ক রয়েছে। জ্যোতিবিজ্ঞানীরা ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে বুঝতে পেরেছেন যে মহাবিশ্ব অনেক দূরত্ব প্রসারিত হচ্ছে। এ প্রসারণের গতিকে হাবল ধ্রুবক বলা হয়।
তবে মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণের পর বিজ্ঞানীরা হাবল ধ্রুবকের যে মান পান সেটা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল থেকে ভিন্ন হচ্ছে। তাই এবার ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। মহাবিশ্ব একেবারে শুরু থেকে কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে এবং তার প্রথম বছর গুলিতে মহাবিশ্বের বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল তা বিস্তারিত জানতে আগ্রহী জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারলে ডার্ক এনার্জি এর অনেক রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে। ডার্ক এনার্জি থেকে মহাবিশ্বের পদার্থ এবং শক্তি উপাদানের প্রায় ৬৮ শতাংশ তৈরি হয়ে থাকে। এজন্য ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া বিজ্ঞানীদের কাছে মূল্যবান। মহাবিশ্বের পদার্থ এবং শক্তির উপরে ডার্ক এনার্জি এর প্রভাব রয়েছে।
ডার্ক এনার্জি থেকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সংকেত পরিমাপ করার চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করা সম্ভব হয়। এর ফলে ব্ল্যাক হোলের আকার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষীয় তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য সময়ের সাথে সাথে বদলায়। কারণ মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের দ্বারা সংকেতের বৈশিষ্ট্য এর পরিবর্তন ঘটে।
বিজ্ঞানেদের তৈরি করা নতুন কৌশল আইনস্টাইনের অভিকর্ষের সুপ্রতিষ্ঠিত মডেলের উপর নির্ভর করছে। Black holes collisions থেকে বিজ্ঞানীরা আরো তথ্য সংগ্রহ করবে। তাদের নতুন পদ্ধতি মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানার জন্য খুবই কার্যকরী বলে বিশ্বাস করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।