
বিনোদন ডেস্ক : রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এদিন প্রায় কুড়ি মিনিট ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নায়িকা। বিকালে সাড়ে চারটা নাগাদ কঙ্গনা পৌঁছান রাজ ভবনে। সঙ্গে ছিলেন বোন রঙ্গোলি চান্দেল। নিজের সঙ্গে ঘটা অন্যায়ের কথা জানাতেই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি, দাবি কঙ্গনার।
অভিনেত্রী দাবি করেন, ‘আমার বিশ্বাস আমি ন্যায়বিচার পাব’। বুধবার বিএমসির তরফে ভেঙে দেওয়া হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের পালি হিলস স্থিত অফিস বাড়ির প্রায় ৪০ শতাংশ অংশ। এর মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে কঙ্গনার এই সাক্ষাৎ।
কঙ্গনা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে টুইটারে দেওয়ালে লেখেন, ‘একটু আগেই আমি মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয় শ্রী ভগত সিং কোশিয়ারি জির সঙ্গে দেখা করলাম। আমি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি। আমি ওনাকে অনুরোধ করেছি যাতে আমাকে ন্যায়বিচার পাই, এবং একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবেই ওনার সঙ্গে দেখা করেছি, আমাদের সমাজের নারী জাতির এক প্রতিনিধি হিসাবে’।
মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কঙ্গনার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে নায়িকার এই সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত কয়েকদিন ধরেই উদ্ধব সরকারের সঙ্গে কঙ্গনার স্নায়ুযুদ্ধ চরমে।
কঙ্গনা রানাওয়াতের পালি হিলস স্থিত অফিস বাড়ির নির্মাণে কাঠামোগত নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে এই অভিযোগ এনে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে ভেঙে দেওয়া হয় কঙ্গনার এই বাড়ি। খবর, প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বুধবার ভেঙেচুরে দিয়েছে বৃহন্মুম্বই করপোরেশন।
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুম্বাই পুলিশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কঙ্গনা। সেই থেকেই টুইটারে শুরু কঙ্গনার সঙ্গে শিবসেনা নেতাদের বাগ্যুদ্ধ। অভিনেত্রীকে মুম্বাই না ফেরবার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক, সাংসদদের হুমকির তোয়াক্কা না করে জোর গলায় ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাই ফেরার কথা ঘোষণা করেন কঙ্গনা। কিন্তু তার আগেই মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে বৃহন্মুমই পুরসভার তরফে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কঙ্গনার অফিস বাড়ি। অন্যদিকে শিবসেনা নেতাদের তরফে আসা হুমকির জেরে হিমাচল প্রদেশ সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রের তরফে কঙ্গনাকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে ২০ মিনিট ধরে বৈঠকের পর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, ‘মুম্বাই আমার কর্মভূমি, এখানে আমি শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো লেনাদেনা নেই। আমি একজন সাধারণ নাগরিক, আমি আমার সঙ্গে ঘটা অবিচারের প্রতিবাদ জানাতে এসেছিলাম’।
পালি হিলসের অফিসে কোনো অবৈধ নির্মাণ ছিল না, এবং বেআইনিভাবে কঙ্গনার সম্পত্তি ধ্বংস করেছে বিএমসি, এই অভিযোগ এনে আগেই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কঙ্গনা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ সেপ্টেম্বর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।