মহাশূন্যে পরিভ্রমণের সময় শরীর কোনো ওজন অনুভব করে না। তাই দেহের উচ্চতা সামান্য বেড়ে যায়। কিন্তু সেটা বাড়ার কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটা এ জন্য নয় যে হাত-পায়ের দৈর্ঘ্য বেড়ে গেল। না, তা নয়। আসলে ব্যাপারটা হলো কী, আমরা যখন পৃথিবীতে থাকি, তখন আমাদের দেহের ওপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে।
তখন আমরা ওজন অনুভব করি। কিন্তু নভোচারীরা নিদিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে ঘিরে মুক্তভাবে পড়তে থাকেন। তাই তারা ওজন অনুভব করেন না। তখন মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলোর মধ্যে ফাঁকা অংশ কিছুটা বেড়ে যায়। ফলে ওদের উচ্চতা ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এ জন্য ওদের স্পেসস্যুটও একটু জায়গা রেখে বানানো হয়, যেন উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সমস্যায় পড়তে না হয়। আবার পৃথিবীতে ফিরে এলে উচ্চতা আগের মতোই কমে আসে। রাতে আমরা বিছানায় লম্বা হয়ে ঘুমাই। এ সময় যেহেতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মেরুদণ্ডের ওপর উল্লম্বভাবে চাপ ফেলে না, তাই ঘুমের সময় উচ্চতা সামান্য বাড়ে। কিন্তু সেটা খুবই সামান্য। দিনের বেলায় চলাফেরার সময় আবার ঠিক হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।