এককথায় বলা যায়, মহাশূন্য প্রচলিত অর্থে ঠান্ডাও না আবার গরমও বলা যাবে না। কারণ মহাশূন্যে তো কোনো বস্তু নেই। আর সে ক্ষেত্রে উষ্ণতা পরিমাপের কোনো সুযোগও থাকে না। এখন ধরা যাক, কোনো তপ্ত বস্তু মহাশূন্যে গেল। যেমন কোনো রকেট। তাহলে সে মহাশূন্যে তাপ হারাতে থাকবে এবং এর তাপমাত্রা হবে মাইনাস ২৭০.৫৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এটা হলো মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণের (CMB) তাপমাত্রা। মানে জমে বরফের চেয়েও বরফ। ওদিকে তার হারানো তাপ আশপাশের কোনো বস্তু থাকলে তাকে উত্তপ্ত করবে, কিন্তু সে-ও তাপ হারিয়ে শেষ পর্যন্ত এই তাপমাত্রায় চলে যাবে। অবশ্য সূর্যের আলোয় সে উত্তপ্ত হবে।
কিন্তু যে দিকটা সূর্যের আলো পাবে না, সেটা দ্রুত তাপ হারিয়ে ঈগই তাপমাত্রায় পৌঁছে যাবে। সেই অর্থে মহাশূন্য চূড়ান্ত ঠান্ডা। যদি তা-ই হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে সূর্য কেন ঠান্ডায় জমে যায় না? পৃথিবী কেন গরম? এর উত্তর হচ্ছে, বিশাল ভর ও প্রচণ্ড মহাকর্ষ বলের কারণে সূর্য বা বড় বড় নক্ষত্রের কেন্দ্রে পারমাণবিক বিক্রিয়ায় ক্রমাগত তাপ উত্পন্ন হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া শত শত কোটি বছর ধরে চলতে থাকে।
ফলে মহাশূন্যের পরম ঈগই তাপমাত্রায় সূর্য ঠান্ডা হতে পারে না। তাহলে পৃথিবী কেন গরম থাকছে? তার কারণ, পৃথিবীর চারপাশে রয়েছে বায়ুমণ্ডল। সূর্যের তাপে এই বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হচ্ছে। মহাশূন্যের ঠান্ডায় সে তাপ হারালেও প্রতিনিয়ত সূর্যের তাপে সে গরম থাকছে। যেসব গ্রহ সূর্য থেকে বেশি দূরে, বা যাদের বায়ুমণ্ডল নেই সেসব গ্রহ ঠান্ডা বরফে আচ্ছন্ন থাকে। সূর্যের কাছাকাছি যেসব গ্রহ সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, সেই দিকটা সূর্যের তাপে পাথুরে রূপ ধারণ করে, বিপরীত দিক বরফে ঢাকা থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।