আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বিভাগের প্রধান হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন মোস্তাফা সুলেমান। সম্প্রতি এই খবর সামনে এসেছে। সুলেমান গুগলের ডিপমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এখন তিনি সরাসরি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলাকে রিপোর্ট করবেন।
ব্লুমবার্গের মতে, সুলেমানের নেতৃত্বে মাইক্রোসফট প্রথমবার সমস্ত কনজিউমার এআই প্রোজেক্টকে একসাথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। উইন্ডোজে এআই কপিটল একত্রীকরণ এবং কোম্পানির বিং সার্চ ইঞ্জিনে কথোপকথন উপাদান যুক্ত করার মতো কাজের দেখভাল করবেন তিনি।
কে এই মোস্তাফা সুলেমান
রূপকথার মতো জীবন সুলেমানের। বাবা সিরিয়ান বংশোদ্ভূত ট্যাক্সিচালক। মা ইংরেজ। নার্সের কাজ করতেন। লন্ডনের ইসলিংটন বরোতে বেড়ে উঠেছেন সুলেমান।
দর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনার জন্য অক্সফোর্ডে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে সব ছেড়েছুড়ে ‘মুসলিম ইয়ুথ হেল্পলাইন’ চালু করেন। এটি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
২২ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের তৎকালীন মেয়র কেন লিভিংস্টোনকে মানবাধিকার নীতি নিয়ে পরামর্শদানের কাজ করতেন। তবে এর আগে তার মনে হয়েছিল, সরকার ‘আমূল পদ্ধতিগত পরিবর্তন’ প্রচারের সেরা মাধ্যম নয়।
গুগল ডিপমাইন্ডে কী করতেন মোস্তাফা সুলেমান
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডিপমাইন্ড। সুলেমান এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাপ্লায়েড এআই-এর প্রধান ছিলেন।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এআই-এর প্রতিশ্রুতি এবং প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্টে বক্তব্য পেশ করতেন সুলেমান। ২০১৪ সালে গুগল ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করে। এরপর গুগলের সমস্ত পণ্যে এআই প্রযুক্তি সংযোগ এবং শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিল সুলেমানের কাঁধে।
গুগল কেন ছাড়লেন মোস্তাফা সুলেমান
২০২২ সালে গুগল ছেড়ে ইনফ্লেকশন এআই-এর প্রতিষ্ঠা করেন সুলেমান। ইনফ্লেকশন জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট পাই এবং জেনারেটিভ এআই-এর জন্য হার্ডওয়্যার তৈরি করতে এনভিডিয়ারকে সাহায্য করেছে।
সুলেমানের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া, এবং বিলিয়নেয়ার রিড হফম্যান (যিনি একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতাও), বিল গেটস এবং এরিক শ্মিড্ট প্রমুখ।
তবে শুধু মোস্তাফা সুলেমান নন, ইনফ্লেকশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান বিজ্ঞানী কারেন সিনোমিয়ানও মাইক্রোসফট এআই-এর প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে নাদেলার কোম্পানিতে যোগ দিচ্ছেন। মাইক্রোসফট ব্লগ পোস্টে এই খবর জানিয়েছেন নাদেলা নিজেই।
সূত্র : নিউজ ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।