লাইফস্টাইল ডেস্ক: মোটরগাড়ি কিংবা বাইকে কখন জ্বালানি তেল ভরা উচিত তা অনেকেই জানেন না। মোটরযানে রিফুয়েলিংয়ের ওপর এর মাইলেজ নির্ভর করে। এ কথাটা অনেকেরই জানা নেই।
আপনি যদি গাড়ি, বাইকের মালিক হোন তবে খেয়াল করলে দেখবেন, সকাল হলেই পেট্রোল পাম্পে লম্বা লাইন। এর পেছনে অন্যতম কারণ অনেক গাড়ি চালকরা মনে করেন সকাল বেলা যখন বাতাসে তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকে তখন তেল ভরলে জ্বালানি বেশি পাওয়া যায়। যেখানে বেলার দিকে তেল ভরলে গরমের ফলে জ্বালানি প্রসারিত হতে শুরু করে।
এর থেকে বাঁচতে কেউ কেউ রাতের দিকেও গাড়িতে তেল ভরিয়ে নিয়ে যান। একই টাকা খরচ করে কেউ বেশি জ্বালানি পেল আবার কেউ কম জ্বালানি ভরে গাড়িতে। সুতরাং আপনিও যদি বর্তমানে ভরদুপুরে বা বেলার দিকে গাড়িতে তেল ভরণ তাহলে সেই অভ্যাস বদলে ফেলুন।
তাপমাত্রা বেশি থাকা অবস্থায় গাড়িতে তেল ভরলে তার ঘনত্বও কম পাওয়া যায়। ফলে মোটা টাকা খরচ করেও আপনার যে পরিমাণ জ্বালানি পাওয়া উচিত ছিল তা আপনি পান না। বহু গাড়ি চালকদের মধ্যে এই প্রচলিত ধারণা কাজ করে।
সকাল হলেই পেট্রোল পাম্পে গিয়ে উপস্থিত হন তারা। যদিও খাতায় কলমে এই দাবি যুক্তিপূর্ণ হলেও একটি বিষয় বোঝার আছে, দেশজুড়ে যত পেট্রোল পাম্প রয়েছে সেখানে জ্বালানি রাখা হয় কংক্রিটের একটি পুরু স্তরের ট্যাংকগুলোতে। যা জ্বালানিকে স্থিত তাপমাত্রায় রাখতে সাহায্য করে।
এক্ষেত্রে অনেকেই তর্ক জুড়ে দেন, ট্যাংকগুলোতে তাপমাত্রা ঠিক থাকায় সকাল সকাল জ্বালানি ভরলে এমন কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু এখানে আরও একটি বিষয় ভাববার আছে যা হল বাউসার (জ্বালানি ভরার জন্য ট্যাংক লাগানো চাকার ট্রেলার) থাকে সেটি গরম হয়। আর তাপমাত্রা বেশি হলে জ্বালানি সহজেই প্রসারিত হতে শুরু করে। যা আপনার গাড়ির জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।
যারা দিনের বেলা বা গরমের সময় নিয়মিত জ্বালানি ভরান তারা তুলনামূলক বেশি টাকা খরচ করেন। যেখানে সকাল সকাল জ্বালানি ভরলে একই টাকা খরচ করে বেশি ঘনত্বের জ্বালানি পাওয়া যায়। এর ফলে গাড়ির মাইলেজও ভালো পাওয়া যায় এবং ইঞ্জিন বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
শুধুমাত্র জ্বালানি ভরার জন্য সকাল সকাল পেট্রোল পাম্পে যাওয়া বৃথা। কারণ এর ফলে আপনি অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করে দেবেন। তবে সূর্যের তাপ বাড়ার আগে যখন পরিবেশ একটু ঠান্ডা থাকবে তখনই জ্বালানি ভরার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।