মাছ-মাংস-ডিমের বাজারে ‘আগুন’, স্থিতিশীল সবজি বাজার
জুমবাংলা ডেস্ক: সহসাই কমছে না দ্রব্যেমূল্যের দাম। গত একমাসের ব্যবধানে যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তা এখনো কমেনি। এমন কি একেক সময় বাড়ছে একেক পণ্যের দাম। একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন বাজার। যেন দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে নামকায়স্থে বাজার মনিটরিং করলে তাতে কোন সুফল পাচ্ছে না সাধারণ ক্রেতারা। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। বার্তা ২৪-এর প্রতিবেদক সোহেল মিয়া-র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
তবে বাজারগুলো নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রশাসন। বাজার মনিটরিং কমিটি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করছে বলেও জানান রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন। তারা বলছেন- বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। তাছাড়া বাজার ব্যবসায়ীরা যাতে কোন সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টিও আমাদের নজরে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে জেলার বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বাজারে নেই কোন শৃঙ্খলা। যে যার ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। বিশেষ করে সবজি বাজারে চলছে একেবারেই নৈরাজ্য। একই সবজি স্থান ও মালিকানা ভেদে দামের পার্থক্য অনেক।
এদিকে মাছ-মাংস ও ডিমের যে দাম বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। হাতের নাগালের বাইরে মাছ-মাংস ও ডিমের দামের। ইতিমধ্যে অনেকেই মাছ-মাংস ও ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
বালিয়াকান্দির বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, বর্তমান প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১০৫০-১১০০টাকা, পোল্ট্রি মুরগী ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগী ৩৩০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩২০টাকা কেজি। আর ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাসখানেক আগেও গরুর মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা, খাসি ৮০০-৮৫০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগী ১৬০ টাকা, লেয়ার ও সোনালী মুরগী ২৫০ টাকা। হঠাৎ করে সকল প্রকার মাংসের দাম বেড়ে যায়।
অন্যদিকে মাছের বাজারও চড়া। দেশীয় প্রজাতির মাছ এমনিতেই সংগ্রহ কম। তারপর যা পাওয়া যায় তার দামও আকাশচুম্বী। আর হাইব্রিড বিভিন্ন জাতের মাছের দাম প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৫০-৮০ টাকা করে বেড়েছে।
তবে সবজি ও মশলার বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। তেমন দাম বাড়েনি সবজি ও মশলায়। ভোজ্য তেলের দাম আগের থেকে বেড়েই আছে। তা আর কমছে না। বর্তমানে বোতলজাত বর্তমানে কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০টাকা কেজি, বেগুন ৪০-৫০টাকা, প্রতি কেজি আদা ১২০ টাকা , রসুন ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, শশা ৪০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা কেজি।
বাজার মনিটরিংয়ের বিষয় জানতে চাইলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, বাজার মনিটরিং করার জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি টিম রয়েছে। তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও তদারকি করছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং বা তদারকি করে থাকি। গতকালও রাজবাড়ীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু আমরা তো দাম নির্ধারণ করে দিতে পারিনা। এটা আমাদের আইনে নেই। মাংসের দাম নির্ধারণ করবে পৌরসভা অথবা উপজেলা পরিষদ। আমরা শুধু সেটা পর্যবেক্ষণ করবো যে নির্ধারিত দামের বেশি নিচ্ছে কিনা এবং পরিমাণ ঠিক আছে কিনা, কোন মেডিসিন মেশানো হচ্ছে কিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।