জুমবাংলা ডেস্ক : চাকরির দায়িত্ব পালন করতে যান বাবা। আর বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান মা। সে সময় বাড়িতে একা থাকায় রিয়া এবং তার ভাই গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায়।
বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে পাবনার ঈশ্বরদীতে। এ দিন রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
মৃত রিয়া খাতুন (১২) উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পাঠশালা মোড়ের পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সৌরভ হোসেন জানান, রিয়ার বাবা পিন্টু বিশ্বাস রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। তিনি সেখানে ডিউটি করতে যান। তার স্ত্রী বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান। সেসময় রিয়া এবং তার ৫ বছর বয়সী ভাই গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সময় শুধু রিয়া এবং তার ছোট ভাই বাড়িতে ছিল। বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়।
তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিয়া।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাবরিনা রহমান বলেন, আগুনে শিশু রিয়ার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বেশিরভাগই পুড়ে গেছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।