জুমবাংলা ডেস্ক : স্টেডিয়াম তৈরিতে দেরি হলেও পূর্বাচলে দ্রুত মাঠ বানাতে চায় বিসিবি। শেখ হাসিনা নাম ও নৌকার নকশা পরিবর্তনে সরকারের দিক নির্দেশনার অপেক্ষায়। তবে পরামর্শক হিসেবে পপুলাসকে রেখে দেয়ার পক্ষে নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবার আজ পূর্বাচল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন।
নৌকার পতন হয়েছে। নৌকা সদৃশ্য পূর্বাচল স্টেডিয়ামের নকশার খোঁজ মিলছে না। অনেক খোঁজের পর মিললো বন্দি এক কক্ষে। নতুন সভাপতির পরিদর্শনে তার কাছ থেকে গোপন করার চেষ্টা।
আন্তর্জাতিক টেন্ডার বাতিল হয়েছে। নকশা আর নাম পরিবর্তনের বিষয়টিও আলোচনায়। তবে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর বিসিবির ওপর।
ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নেই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।
৫ বছরেও কাঠামো দাঁড় করাতে পারেনি বিসিবি। সরকার পতনের পর বেড়েছিল অনিশ্চয়তা। আগস্টের শেষদিন যখন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বোর্ড কর্তারা তখন দৃশ্যটা প্রখর রোদে কাশবন ভ্রমণের। পুরনো কমিটির রূপরেখায় বড় পরিবর্তনের পক্ষে নয় বর্তমান কমিটি।
ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ আরও বলেন, এ মাঠে আমরা প্র্যাকটিস করেছি, খেলা অনেকও হয়েছে। এখন ঘাস আছে, মাঠের কিছু ডেভেলপমেন্ট আছে, উঁচা করতে হবে না হলে পানি জমে যাবে। বেশকিছু কাজ আছে যেগুলো করতে হবে, সেগুলো খুব বড় আকারের না।
স্টেডিয়ামের ডিজাইন করতে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান পপুলাসকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের পেছনে ব্যয় হয়েছে ৭৬ কোটি টাকা। ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিটি তাদের ওপরই ভরসা রেখেছে। দুটি মাঠ তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম ধাপে বয়স ভিত্তিক দল ও ঘরোয়া লিগের জন্য একটি মাঠ প্রস্তুত করতে চায় বিসিবি।
ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি আরও বলেন, এখানে দুটি মাঠ হওয়ার কথা ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমরা এত বাজেট অ্যাফোর্ড করতে পারব না। সে জন্য প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা করার চেষ্টা করব। দ্রুতই মাঠের কাজ শুরু করব।
কবে নাগাদ বিরানভূমি পূর্ণতা পাবে পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামে তার সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি নতুন বোর্ড প্রধান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।