আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করলেন দুই মাতাল যুবক। বিয়ের দুই দিন পর ভরণপোষণের জন্য একজন আরেক জনের বাড়িত হাজির হন। খোরপোষ না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানার মেদক জেলার চান্দুরে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, দিনের শেষে দুই যুবকের দেখা হতো মদের আড্ডায়। একজন পেশায় অটোচালক, অন্য জন বেকার। সন্ধ্যার আসরেই বন্ধুত্ব। এমনই এক সন্ধ্যায় কয়েক পাত্র পানের পর দুই যুবকেরই তখন টলোমলো অবস্থা। সেই অবস্থাতেই একে অপরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তারা। যেই ভাবা সেই কাজ। ওই অবস্থাতেই সোজা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে সেরে ফেলেন দুই যুবক। কিন্তু কয়েক দিনেই হলো মোহভঙ্গ। অটোচালকের কাছ থেকে খোরপোষ দাবি করে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বেকার যুবক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই অটোচালকের বয়স ২২ বছর। অন্য যুবকের বয়স ২১। গত ১ এপ্রিল মত্ত অবস্থায় মন্দিরে হাজির হন তারা। বিয়ে সেরে অবশ্য যে যার বাড়ি চলে যান। কয়েক দিন পর, যোগিপেটের বাসিন্দা যুবক ওই অটোচালকের বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মাকে নিজেদের বিয়ের কথা খুলে বলেন। তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চান। জানান, অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাকে ওই বাড়িতেই থাকতে দিতে হবে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও ওই যুবককে বাড়ির উঠতে দেননি অটোচালকের বাবা-মা।
এই ঘটনায় রেগে গিয়ে থানায় চলে যান যুবক। পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলার পর অটোচালকের কাছে এক লক্ষ টাকা খোরপোষ দাবি করেন তিনি। পুলিশের ডাকে দুই যুবকের পরিবার হাজির হয় থানায়। আলোচনার পর শেষমেশ কেউই মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে রফা হয়, এক লক্ষ টাকা না হোক, ওই বেকার যুবককে এককালীন ১০ হাজার টাকা দেবেন অটোচালক। দুই যুবকের আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এই খোরপোষে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।