লাইফস্টাইল ডেস্ক : বয়স বাড়লে অনেকেরই চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা আরও বেশি করে ঘটে। এর পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। চুলের পুষ্টির অভাব থেকে শুরু করে হরমোনের বদল পর্যন্ত এ জন্য দায়ী হতে পারে।
কিন্তু অনেকেই এই টাক পড়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেন না। অনেকে হীনমন্যতায় ভোগেন। কেউ কেউ অস্বস্তিতেও পড়েন। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার বাইরেও আছে নানা ঘরোয়া টোটকা। তার মধ্যে অন্যতম হল মাথা কামিয়ে ফেলা বা ন্যাড়া হয়ে যাওয়া। অনেকেই মনে করেন, এতে নতুন যে চুল গজায়, তার ঘনত্ব বেশি হয়।
ন্যাড়া হলে কি নতুন চুল আগের চেয়ে ঘন হয়? কী বলছে বিজ্ঞান? পাবমেড সেন্ট্রালে প্রকাশিত একচটি গবেষণাপত্রে এই বিষয়ে বলা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ন্যাড়া হওয়ার পরে যে চুল গজায়, তা আপাতভাবে ঘন বলে মনে হয়। বিশেষ করে চুল যখন একেবারে ছোট থাকে, তখন মাথায় হাত দিলে মনে হয় চুলের ঘনত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি অত সহজ সরল নয়।
চুল যত বড় হতে থাকে, বোঝা যায়, আগের মতোই আছে। এর কারণ হল, চুলের ঘনত্ব কমে যায়, তার সবচেয়ে বড় কারণ, মাথার ত্বকের তলায় গোড়াগুলি শুকিয়ে যায়। ওই মৃত গোড়াগুলি থেকে আর নতুন করে চুল গজায় না।
ন্যাড়া হওয়ার সময়ে অনেকেই ভাবেন, ত্বকের তলায় না গজানো কিছু গোড়া রয়ে গিয়েছে। ভালো করে মাথা কামালে, সেই গোড়া থেকে চুল বেরিয়ে আসবে। কিন্তু আখেরে তা হয় না। কারণ এমন কোনও কিছুই সেখানে নেই।
তবে ন্যাড়া হওয়ার একটি সুবিধাও আছে। যাঁদের চুল পড়ার সমস্যা আছে, তাঁদের চুল বড় হয়ে গেলে বেশি মাত্রায় উঠতে থাকে। ন্যাড়া হওয়ার পরে আবার যখন নতুন চুল গজায়, তখন তা অত সহজে পড়ে যায় না।
আবার ন্যাড়া হওয়ার একটি অসুবিধাও আছে। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। রোদ লাগলে ত্বকের সমস্যাও হতে পারে। তাই ন্যাড়া হলে নিয়মিত ক্রিম বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।