জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে মাদরাসার গোসলখানা থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদরাসার প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সহপাঠীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় গোসলের জন্য যায় আবু তালেব। দীর্ঘক্ষণ পরও বের না হওয়ায় সহপাঠীদের সন্দেহ হয়। এ সময় দরজা ভেঙে ভেতরে যান কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রধান শিক্ষককে খবর দেন তারা। পরে তালেবকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, দুই ঘণ্টা পরও বাথরুমে থেকে বের না হওয়ায় তালেবকে ডাকাডাকি করি। পরে প্রধান শিক্ষককে ডেকে এনে দরজা ভাঙলে দেখি তালেবের গলায় গামছা পেঁচানো।
এদিকে মরদেহ ফেলে হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক নোমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। আর আবু তালেবকে হত্যার অভিযোগ করছেন স্বজনরা।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হুজুর বলেছেন, পা পিছলে পড়ে গেছে। তাই আমরা ওকে নিয়ে হাসপাতাল আসি।
আবু তালেব রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।