জুলাই ও আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন। মামলায় পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সকাল ৯টার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
বছরখানেক ধরে কারাগারে থাকা মামুন ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তার শাস্তির বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর জেরার পর গত ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেতার বিচারের উদাহরণ তুলে ধরেন। পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জবাব দেন এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেনও পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানিয়েছে, আজ রায়ের তারিখ ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকাশ হতে পারে।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ‘বীভৎসতা’র চিত্র তুলে ধরেন। ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন, উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো।
মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মোট ৮৪ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



