আপনি একটি দেয়ালের প্রাচীর এর মধ্য দিয়ে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে বিষয়টি কেবল কল্পনায় ভাবতে পারেন। বাস্তবতা সম্ভব না হলেও বিজ্ঞানের কোয়ান্টাম টানেলিং বলতে একটি বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে অনুযায়ী দেয়ালের প্রাচীরের মধ্য দিয়ে আপনি অপর সাইডে পৌঁছাতে পারবেন।
ক্লাসিকাল ফিজিক্স এবং কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর মধ্যে একটি পার্থক্য হল কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অনেক বিষয়ের নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকে। সম্ভাবনার জায়গা থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন আপনি একটি টেনিস বলকে ইলেকট্রন হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
টেবিল টেনিসের লোকেশন কোথায় তা আপনি ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সে বলে দিতে পারবেন। কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর ভাষায় একটি ইলেকট্রনের অবস্থান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার নীতি থেকে বিষয়টি জানা যায়।
আরেকটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যাক। দুটি ছক্কার গুটি নিক্ষেপ করলে ফলাফল কী আসতে পারে তার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। একটি তরঙ্গ ধারা দিয়ে বিষয়টি প্রকাশ করা যেতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানী সুরিন্জামের ওয়েভ ফাংশন থেকে জানা যায় যে, একটি দেয়াল বা প্রাচীরের উভয় পাশে কোয়ান্টাম পার্টিক্যাল পাওয়া যায়।
কারণ হিসেবে বলা হয় প্রাচীরের অপরপাশে ওয়েভ বা তরঙ্গের অস্তিত্ব থাকে। এজন্য এখানে কোয়ান্টাম পার্টিক্যাল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এখন কোয়ান্টাম পার্টিকেল পাওয়ার সম্ভাবনা কত তা নির্ভর করে প্রাচীরের গুরুত্ব এবং উচ্চতার উপরে। একই সাথে পাটিকেলের ভরের উপরও বিষয়টি নির্ভর করে।
প্রশ্ন হচ্ছে কোয়ান্টাম পার্টিক্যাল এর মধ্যে যদি টানেলিং সম্ভব হয় তাহলে আমাদের মত বড় বস্তুর ক্ষেত্রেও তা সম্ভব হওয়ার কথা। কারণ যে কোন বস্তু বা আমাদের দেহ কোনটা পার্টিকেল দিয়ে তৈরি। সমস্যা হচ্ছে মানবদেহে বিপুল পরিমাণ পরমাণু রয়েছে। এত পরমাণুর একসাথে টানেলিং করে অপরপ্রান্তে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।
গবেষণা করে জানা যায় যে, মানবদেহের ক্ষেত্রে টানেলিং ঘটার সম্ভাবনা অনেক কম। এতই কম যে, গাণিতিক হিসাবে তা দশমিকের পরে 39 টি শূন্য দিয়ে তারপর 1 বসাতে হবে। অর্থাৎ বড় পরিসরে টানেলিং করার সম্ভাবনা খুবই নগণ্য। মানবদেহে ডিএনএ এর মিউটেশনের ক্ষেত্রে টানেলিং পদ্ধতির প্রভাব রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।