বিনোদন ডেস্ক : বাসায় ফিরেছি মধ্যরাতে, মেইনগেট দিয়ে ঢুকতে দারোয়ান এগিয়ে এলেন সাথে একটা ১৬-১৭ বছরের ছেলে। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই দারোয়ান বললো সকাল থেকে ছেলেটা অপেক্ষা করতেছে আপনার সাথে দেখা করার জন্য। বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করলাম, সেই ছেলেটাই বললো, সে যেকোনোভাবে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল এবং একটি ছবি তোলার ইচ্ছে- এই পাগলামির কারণ ‘বদমাশ পোলাপাইন’ আমি অবাক হয়ে গেলাম। ছেলেটার সঙ্গে ছবি তুললাম এবং উবার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম।
আরেকটা ঘটনা- সিজন ওয়ান শুটিং শেষের দিকে, আমরা মানিকগঞ্জে শুটিং করছি। কিভাবে যেন আশেপাশে সবাই জেনে গেল আমরা সেখানে শুটিং করছি। সকালে ভিড় লেগে গেল। টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, সাভার থেকে শত শত স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরা ফুল-উপহার নিয়ে এসেছে। আমরা সেদিন ঢাকায় উপহার নিয়ে এসেছি আলাদা একটা গাড়িতে করে।
বদমাশ পোলাপান নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে বগিয়ে এমনটাই বলছিলেন নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ। সদ্য বিগত ভালোবাসা দিবসে পাঁচটি নাটক নির্মাণ করেছিলেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ। ‘ব্রাদার্স ৩’, ‘হাফ হানিমুন’, ‘ছোটবেলার প্রেম’, ‘বেয়াদ্দব’, ‘বদমাশ পোলাইন সিজন ২।’ এসব কাজের বাইরে গিয়ে বদমাশ পোলাপাইন নিয়ে একটা আলাদা যে জায়গা তৈরি হয়ে গেছে সেটা নিয়েই কথা বললেন বান্নাহ।
বান্নাহ বলেন, ‘কে জানতো মাত্র তিনমাসের মধ্যে আমার কপাল খুলে যাবে? বদমাশ পোলাপাইন নিয়ে দর্শক এতো আগ্রহ দেখাবে তা অনুমান করা কঠিন ছিল। ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের মতো সমালোচক মূল্য মানুষকে তরুণরা গ্রহণ করে ফেল;অবে সহজে ভাবিনি। মারজুক ভাইকে সব শ্রেণীর মানুষ পছন্দ করে এটা জানতাম। প্রত্যয় হিরণকে তরুণরা বেশ ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এটা বেশ আন্দোলিত করেছে আমাকে।
সাম্প্রতিক সময়ের কাজ নিয়েও কথা বলেছেন বান্নাহ। এমন ওকেশনে বিভিন্ন শ্রেণির দর্শকের মতামত পাওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু এবার কাজে বৈচিত্র্য থাকায় অন্যরকম সাড়া পেয়েছি। তবে সামান্য আপসোস হচ্ছে, ‘ব্রাদার্স ৩’ যতোটা আলোচিত হয়েছে, ততোটা ভিউস হয়ে ওঠেনি। এছাড়া বাকি সব পারফেক্ট। কোনো নাটকের সাথে কোনোটার মিল রাখিনি বলে দর্শকের অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। সচেতনভাবেই বৈচিত্র্য রেখেছি বলে বিভিন্ন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া ভ্যালেন্টাইন হচ্ছে আমাদের বছরের প্রথম ওকেশন৷ আলহামদুলিল্লাহ বছরের শুরুটা খুব চমৎকার হয়েছে।