প্রযুক্তির জগতে এক বড় বিস্ময় হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটিকে মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ভিন্নভাবে চিন্তা করে। কেউ চান এই সিস্টেমটাকে আরো উন্নতি করা হোক। আবার কেউ ভাবছেন এটি একটি সময় মানুষকে পুরোপুরি ছাড়িয়ে যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দৌঁড় কোথায় গিয়ে থামবে তা বোঝার উপায় নেই।
অনেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উত্থান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কেননা এটি মানুষের জব কেড়ে নিতে পারে। কাজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমকে শুধু মানুষের কল্যাণের মধ্যেই নিয়োজিত রাখা সম্ভব হলে সবাই উপকৃত হবে।
এআই এর গবেষণায় উন্নত বিশ্ব বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। AI এর লাগামছাড়া বিকাশের ঝুঁকি সম্পর্কে প্রযুক্তির নির্মাতারা যেন সতর্ক হোন সে বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। এ ধরনের সফটওয়্যার যারা ডেভেলপ করেন তাদের মাথায় রাখতে হবে যেন এটি সবার জন্য নিরাপদ হয়।
প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈতিক এবং আইনি দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয়। সাধারণত পশ্চিমা বিশ্ব গবেষণার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমতাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে এমন সময় আসবে যখন নিয়ন্ত্রণহীন এই প্রযুক্তি আমাদেরকে ভোগাবে।
এআই এর বিকাশ অনেক দ্রুত গতিতে হচ্ছে। গুগল বার্ড সহ আরো অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে যেখানে এআই অনেকদূর বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। বাণিজ্যিক দিক থেকে এটি ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
বিজ্ঞানী ইয়েশা শিভান মনে করেন যে, মিডিয়াতে এআই এর অপব্যবহার ও সক্ষমতা নিয়ে যা দেখা হয় তা মাত্র পাঁচ শতাংশ। ছবি বা ভিডিও নিয়ে কাজ করার বাহিরে এআই অনেক কিছু করতে পারে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলাদা জনবল নিয়ে সংস্থা গড়ে তোলা দরকার।
যথাযথ পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমেই এটিকে সঠিক পথে রাখা সম্ভব। ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে অনেক বড় প্রজেক্টর কাজ দ্রুত সমাধান করে ফেলা হবে। তবেই দিনশেষে এআই কীভাবে কাজ করছে তার নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতেই থাকতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।