জুমবাংলা ডেস্ক : রোজ রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস আপনার। কিন্তু ভোরে অ্যালার্মটায় আওয়াজ কর্কশ থেকে কর্কশতর হয়ে গেলেও চোখ মেলা কঠিন হয়ে পড়ছে। সারা দিন দুচোখে ঝাপসা দেখেন, উদ্ভ্রান্ত অবস্থা যেন কাটে না।
কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন; যথারীতি তা নিয়ে আলাদা কোনো মাথাব্যথা নেই। এটিকে কোনো ব্যাপার হিসেবে আলাদা কোনো গুরুত্বই দিচ্ছেন না। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনি সারাক্ষণ খুব ক্লান্ত থাকেন।
প্রতিদিন নিয়মিত কত ঘণ্টা ঘুমাতে হবে, তা কি জানা আছে আপনার?
আসলে একজন মানুষের কত ঘণ্টা ঘুম দরকার, তা নির্ভর করে বয়সের ওপর। তিন মাসের কম বয়সী নবজাতকের দিনে ১৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। আর বয়স যখন ৬৫ বছর পেরিয়ে যাবে, তখন ঘুম দরকার পড়ে ৫ ঘণ্টা।
অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে রাতে গড়ে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন এমন তথ্যই দিচ্ছে।
শরীর পর্যাপ্ত ঘুম বঞ্চিত হলে অনেকটা চোরাগোপ্তাভাবে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে টের পাওয়া যায় না। অতিঘুম কিংবা অবিরত ক্লান্তিভাব শারীরিক সমস্যারই আভাস দেয়।
মার্কিন কোম্পানি ফিটবিটের পরিচালক ড. কনোর হেনেগান বলেন, অতিঘুম হচ্ছে নিয়মিতভাবে আপনি ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়ে যাচ্ছেন, যা বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত হালহকিকতের সঙ্গে জড়িত। যার মধ্যে একটি হচ্ছে দুশ্চিন্তা। তবে সত্যি বলতে- এটি স্বাস্থ্য সমস্যার কোনো পরিচিত কারণ না।
যখন শরীরের ঘুমঘড়িতে অনিয়ম দেখা দেয়, তখন তা আপনার মেজাজ-মর্জিতে প্রভাব ফেলে। এর পর একটা স্বাভাবিক ঘুমচক্রে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন।
কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম কিংবা অতিঘুমের পরও যদি শরীরে ক্লান্তিবোধ করেন, তবে ধরে নিতে হবে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।-রিডার্স ডাইজেস্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।