জুমবাংলা ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক সাত দিনের রিমান্ডে আছেন। রিমান্ডে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন মামুনুল হক।
গোয়েন্দা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৩ সালে বিএনপির পেছনে থেকে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখতেন তারা। এখন তিনি মনে করেন, হেফাজতই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে এবং বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলও তাদের পেছনে থাকবে। মামুনুল হক মনে করতেন, তার দলের নেতাকর্মীরা ডিবি অফিসে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। তবে দলটির আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর বক্তব্য দেখানোর পর তিনি হতাশ হয়েছেন।
গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। এই সময় প্রথমে ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভে সহিংসতা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। সেখানে পুলিশের গুলিতে চার ছাত্রের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ হয়। সেখানেও সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। হামলা ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৭ মার্চ বিক্ষোভ ও ২৮ মার্চ হরতাল পালন করে হেফাজতে ইসলাম। হরতালে দেশব্যাপী হামলা, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ‘নারীসহ অবরুদ্ধ’ করার ঘটনা ঘটে। যদিও ওই নারীকে নিজের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ বলে দাবি করেন মামুনুল হক। ওইদিন সন্ধ্যায় রিসোর্ট থেকে তাকে ছাড়িয়ে স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যান হেফাজত নেতাকর্মীরা। এই সময় রিসোর্ট, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।