বহুদিন ধরেই তাদের মনে চিন্তা বাসা বেধেছিল যে তারা আর আর বেঁচে থাকতে চান না। তাই দুজন মিলে একই দিনে, একই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীকে বিদায় জানান। গত ১৭ নভেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিখ্যাত জার্মান যমজ তারকা অ্যালিস ও এলেন কেসলার। তাদের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পুলিশকে অবহিত করা হয়। খবর জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড এর।

গত বছর এক সাক্ষাৎকারে কেসলার যমজ জানিয়েছিলেন—মৃত্যুর পর তারা যেন একই জায়গায় সমাহিত হন। এমনকি তাদের মা এলসা ও প্রিয় কুকুর ইয়েলোর পাশেই তাদের শেষ ঠিকানা হোক—এমনটিই ছিল তাদের ইচ্ছা।
তাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বিনোদন জগতের এক কিংবদন্তি অধ্যায়ের অবসান হলো। ৮৯ বছর বয়সী এই যমজ বোনরা মিউনিখের কাছে নিজেদের বাসায় মেডিক্যাল এইড ইন ডাইং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুকে বরণ করেন।
অ্যালিস ও এলেন কেসলারের প্রতিভা মুগ্ধ করেছিল ইউরোপিয়ানদের। ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে ইউরোপের বিনোদন জগতে ঝড় তোলা এই যমজ বোনদের ক্যারিয়ার ছিল গান, নৃত্য ও টেলিভিশনের অসাধারণ সমন্বয়। অ্যালিস ও এলেন বিশেষ করে ইতালিতে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তাদের বলা হতো “লেগস অব দু ন্যাশন”, সৌন্দর্য, গ্রেস ও স্টেজ পারফরম্যান্সের কারণে তারা সেসময় হয়ে উঠেছিলেন অনন্য।
শীতকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলেই শরীরে আসবে যেসব জাদুকরী পরিবর্তন
প্রসঙ্গত, জার্মানিতে ২০১৯ সাল থেকে মেডিক্যাল এইড ইন ডাইং বৈধ। এটি ইউথেনেশিয়ার থেকে আলাদা এখানে চিকিৎসক জীবনাবসানের ওষুধ দেন, কিন্তু রোগী নিজেই তা গ্রহণ করেন। ইউথেনেশিয়া জার্মানিতে এখনও অবৈধ। তাদের মৃত্যুর পর রেডিও মন্টে কার্লো এক আবেগঘন বার্তায় জানায়, অ্যালিস ও এলেন একসঙ্গে জীবন কাটিয়েছেন, একসঙ্গেই চলে গেলেন। তারা ইউরোপীয় বিনোদনের এক উজ্জ্বল প্রতীক, যাদের অবদান কখনো মুছে যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



