আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মার্কিনিদের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য, বিশেষ করে ডিএনএ সম্পর্কিত তথ্য হাতিয়ে নিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির যে প্রচেষ্টা, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে এসে তা আরো বেড়ে গেছে। খবর টাইমস নাউ নিউজ’র।
এনসিএসসি বলছে, বছরের পর বছর ধরে পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করছে। বৈধ ও অবৈধভাবে তারা এসব তথ্য সংগ্রহ করছে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করার মতলবে।
এনসিএসসি আরো জানিয়েছে, পিআরসি’র হাতিয়ে নেওয়া এসব স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য মার্কিন নাগরিকদের মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে। মার্কিনিদের শুধু গোপনীয়তার বিষয় নয় এটি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি মারাত্মক ঝুঁকির।
অ্যামেরিকান ডেইলি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার এই সময়ে চীনের তৎপরতা বেড়ে গেছে বলে মনে করে এনসিএসসি।
চীনা বায়োটেক গ্রুপ বিজিআই বেশিরভাগ দেশকে করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ করছে এবং সেসব দেশের নাগরিকের স্বাস্থ বিষয়ক তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য দেশটি গত ছয় মাসে ১৮ টি পরীক্ষাগার স্থাপন করেছে বলেও দাবি উঠেছে।
এনসিএসসি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে বৈচিত্র থাকার কারণে এবং দেশটির তুলনামূলকভাবে শিথিল সুরক্ষার কারণে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের কাছে তা আকর্ষণীয় লক্ষ্য।
সংস্থাটি মনে করে- চীন সরকার অনুধাবন করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে নতুন আবিষ্কার সহজ হবে। আর তা বাণিজ্যিকসহ নানা রকমভাবে ব্যবহার করা যাবে।
মার্কিন সংস্থাটি এ ব্যাপারেও সন্দেহ করেছে যে, চীন বিশ্বজুড়ে করোনা পরীক্ষার কিটগুলোকে ‘আগ্রাসীভাবে’ বাজারজাত করতে এবং বহু দেশে ল্যাব স্থাপনের জন্য মহামারির সুযোগ নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।