মার্কিন বাণিজ্য জাহাজে আবারো হামলা হুতিদের

জুমবাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতি যোদ্ধারা।

সেন্টকম জানিয়েছে, এডেন উপসাগরে মার্কিন পতাকাবাহী এবং মালিকানাধীন তেলবাহী ট্যাঙ্কারে একটি অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হাউছিরা।

এতে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেট মিস করে পানিতে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে সেন্টকম জানিয়েছে যে- এটি দক্ষিণ লোহিত সাগরের উপরে দুটি ‘একমুখী আক্রমণকারী ড্রোন (মানববিহীন আকাশযান) গুলি করে, যখন তৃতীয় একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলের হামালার প্রতিবাদে হাউছি যোদ্ধারা নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।

এদিকে শনিবার হাউছি যোদ্ধাদের ওপর নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে দুই মিত্র দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে গত দেড় মাসে চতুর্থবারের মতো যৌথ হামলা চালালো দেশ দু’টি।

শনিবারের এই বিমান হামলায় হাউছিদের অন্তত ১৮টি স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন।

হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল হাউছিদের ব্যবহৃত হেলিকপ্টার, ড্রোন, রাডার, অস্ত্র গুদাম এবং বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ড এই হামলাকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, মিত্রদের সাথে মিলে তারা হাউছিদের ক্ষমতাকে ‘আরো অবনমিত করার লক্ষ্য নিয়ে’ কাজ করে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন যে তার দেশ বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুটে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।

গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটে চলাচলকারী মালবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা।

মূলত ইসরাইল ও পশ্চিমা দেশগুলোর পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে তারা।

হাউছিদের এই হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গত ১১ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে যৌথ হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

লোহিত সাগরের নৌ রুট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক রুটগুলোর একটি। কিন্তু হাউছিরা হামলা শুরু করার পর বড় কোম্পানিগুলোর অনেকেই ওই রুট থেকে তাদের পণ্যবাহী জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। ফলে সারা বিশ্বেই পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলা