মালয়েশিয়ায় দশম নেতা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো। তাকে বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জোটের সদস্যদের সন্তুষ্ট করা।
মালয়েশিয়ার জনগণ চায় দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক। আনোয়ার ইব্রাহিমকে তাই অর্থনীতি নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। তিনি ব্যর্থ হলে বর্তমান সরকার ভেঙ্গে যেতে পারে।
সমকামিত, দুর্নীতির অভিযোগে আনোয়ার ইব্রাহিমকে নয় বছর কারাবরণ করতে হয়। তবে এসব অভিযোগকে তিনি ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ার ইব্রাহিম লড়াই করে যাচ্ছেন।
অনেকে ভেবেছেন তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে সবার ধারণাকে তিনি ভুল প্রমাণ করেছেন। আন্তর্জাতিক মহলে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে আনোয়ার ইব্রাহিমের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে।
মালয়শিয়ার দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে আনোয়ার ইব্রাহিমকে ইতিবাচক হিসেবে নিবে পশ্চিমা বিশ্ব। আমেরিকা বা পশ্চিম ইউরোপের সাথে তার কোন বিরোধ নেই। বর্তমানে মালয়েশিয়ার স্টক মার্কেটের অবস্থা সন্তোষজনক।
পাশাপাশি মালয়েশিয়ান মুদ্রা রিঙ্গিতের মান ডলারের বিপরীতে বেড়েছে। আনোয়ার ইব্রাহিম অর্থনীতি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারল দেশের ভোটাররা বর্তমানে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ এ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে কিনা তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।
মালয় ভাষাকে দেশের জাতীয় ভাষা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন আনোয়ার ইব্রাহিম। দুর্নীতি দমন এবং মূল্যস্ফীতি সমস্যার সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আনোয়ার ইব্রাহীম বেতন গ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এরকম মন্ত্রিসভা গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে আনোয়ারকে।
আনোয়ার ইব্রাহিম জানিয়েছেন যে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জনগণের জীবনমান উন্নত করা ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে গ্রহণ করবেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।