মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি প্রায় ১৭০০ অভিবাসী, যাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশীও রয়েছেন, সরকারের হাতে আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বৈধ কর্মী ছিলেন, তবে সরকারের নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের ফলে একজন কর্মীর মৃত্যুও ঘটেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে যারা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে কর্মরত ছিলেন, তারাও রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন এবং তাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের শিকার হয়ে একজন বৈধ কর্মী মারা গেছেন, যা এই পরিস্থিতিকে আরো গুরুতর করে তুলেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযানের নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা বলছেন, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও এসব অভিবাসীদের আটক করা এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অমানবিক।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তারা বলছেন, আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মালয়েশিয়ার সরকার অবশ্য বলছে, তারা অবৈধ অভিবাসন রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়েছে। তবে, বৈধ অভিবাসীদের আটক এবং নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তারা এখনো স্পষ্ট কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এই ধরনের অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মালয়েশিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাই বৈধ অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা এবং মানবিক আচরণের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।