স্পোর্টস ডেস্ক : ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প ছিলো না জিমুবায়ের সামনে আর এই ম্যাচে জিতলেই ফাইনালে চলে যাবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারাতি ২০ ওভার খেলে ১৭৫ রান করে টাইগাররা। জিম্বাবুয়েকে জিততে হলে করতে হবে ১৭৬ রান।
চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথমে জিম্বাবুয়ে বোলারদের ধীর গতিতে খেলতে থাকেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে থাকা লিটন দাস খেলতে থাকেন বিধ্বস্ত ভাবে।
তবে দলীয় ৪৯ রানে জারভিসের স্লোয়ার ডেলিভারীতে ফিরতি ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে এই ওপেনার করেন ৯ বলে মাত্র ১১ রান। এরপর লিটনকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কিন্ত দুর্দান্ত খেলা লিটন দাস ইনিংস বড় করতে পারেননি। এমপোফুর লেগ স্ট্যাম্পের ওপরের বল চালাতে গিয়ে টপ এজ হন। শর্ট ফাইন লেগ থেকে দৌড়ে ফাইন লেগে গিয়ে বল তালুবন্দি করেন মাদজিভা।
আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যান করেন ২২ বলে ৩৮ রান। লিটন আউট হওয়ার পরেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন। সাকিব আউট হওয়ার পরে চাপে পরে বাংলাদেশ কিন্তু সেই চাপ দূর হয় মিস্টার ডিপেন মিস্টার ডিপেনডেবল খ্যাঁত মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে। তবে দলীয় ১৪৩ রানে ২৬ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরে যায় মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ সঙ্গী হিসাবে ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন কিন্তু এবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আট বলে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র সাত রান। আর মাহমুদউল্লাহ ইনিংস থামে ৪১ বলে ৬২ রান করে। শেষের দিকে মোসাদ্দেক ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে ১৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৭৫/৭ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, নেভিল মাদজিভা, টিনোটেন্ডা মুটুমবডজি, টনি মুনিয়োঙ্গা, কাইল জারভিস, টিমাইসেন মারুমা, রায়ান বার্ল, এমপোফু ও রিচার্ড মুতুম্বাবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।