জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে মায়ের উপর অভিমান করে মিরাজুল হাসান তুষার (২৮) নামের এক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পৌর শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার নিজ বাড়িতে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিজেকে দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন।
মিরাজুল হাসান তুষার পৌর এলাকার সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার আবেদ হাসানের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হেলথ সেন্টারের চক্ষু শিবিরের সহকারি চিকিৎসক ছিলেন।
জানা গেছে, আবেদ আলীর দুই স্ত্রী। মিরাজুল হাসান তুষার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। মা তরু লতা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার। বেশ কিছুদিন যাবত নিজেদের বাড়ি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয় নিয়ে মায়ের উপর অভিমান করে রাতেই মিরাজুল হাসান তুষার নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে অনেক ডাকাডাকির পর ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে দরজা ভেঙ্গে সিলিংফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মিরাজুল হাসান তুষারের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এসময় মিরাজুল হাসান তুষারের ঘর থেকে তার স্বাক্ষরিত একটি সুইসাইড নোট (চিরকুট) পায়।
তাতে লেখা আছে ‘আমি এ.এস.এম মিরাজুল হাসান (তুষার) স্বজ্ঞানে-স্বেচ্ছায় নিজের সম্পূর্ণ ইচ্ছায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। এই আত্মহত্যার পেছনে কারো এক বিন্দু পরিমাণ কোনো দোষ নেই। সরি মা। ১৫.০১.২১ রাত ১২টা ৪০ মিনিট।’
মা তরুলতা বেগম বলেন, পারিবারিক তেমন কোন ঝামেলা ছিলনা যে আত্মহত্যা করতে হবে তার। তবে বেশ কিছুদিন যাবত ছেলে মিরাজুর হাসান তুষার বাড়িতে একা একা থাকতো। কারো সাথে কোনো কথা বলতো না।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খাঁন বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে তুষার আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।