আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘মা আমি দুঃখিত, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, আমি মরে যাচ্ছি।’ ভিয়েতনামের এক তরুণী তার মায়ের মোবাইলে শেষবারের মতো এমনই এক ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণী যুক্তরাজ্যে লরির কন্টেইনারে পাওয়া ৩৯ মরদেহের একজন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়: ২৬ বছরের ফাম থি ত্রা মঙ্গলবার রাতে বেলজিয়াম থেকে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন। ওই রাত থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী জানায়, ফাম যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
ফামের ভাই বিবিসিকে জানান, মানবপাচারকারীদের তারা ৩০ হাজার ইউরো দিয়েছেন। তার সর্বশেষ অবস্থান বেলজিয়ামে ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন।
ক্ষুদে বার্তায় ফাম তার মাকে লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত মা, আমার বিদেশ যাত্রা সফল হলো না, মা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, মা আমি মরে যাচ্ছি কারণ আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
এসময় তার অবস্থান ভিয়েতনামের হা থিন প্রদেশের চান লক জেলায় ছিল বলে বার্তায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
হ্যানয় ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস স্পেস এর মানবাধিকার কর্মী নোয়া এনজেহিম বলেন: ওই ৩৯ জনের মধ্যে তাদের মেয়ে আছে কিনা তা নিয়ে পরিবার উদ্বিগ্ন। কারণ মৃত্যু সম্পর্কিত পরিবারকে দেয়া সর্বশেষ বার্তাটির সময় কাকতালীয়ভাবে ওই ঘটনার সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে।
এ বিষয়ে লন্ডনে অবস্থিত ভিয়েনমারে দূতাবাস থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। লন্ডনের পুলিশ বলছে, ওই ৩৯ জনের মধ্যে ভিয়েতনামের তরুণী আছেন কিনা তা তারা জানতে পারেননি।
এর আগে পুলিশ জানায়, মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী রয়েছেন এবং তারা সবাই চীনের নাগরিক। গ্রেপ্তার লরি চালককে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা যায়।
গত মঙ্গলবার এসেক্সের গ্রেজ এলাকার ইস্টার্ন এভিনিউতে অবস্থিত ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে লরিটি থামায় স্থানীয়রা। স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ লরিটি থেকে ৩৯টি মরদেহ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে একজন তরুণ, বাকীরা সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।