জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ভুয়া ছবিও ছড়িয়েছে।
ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঝড়ের সময় ‘ভোলার চরফ্যাশনে কর্দমাক্ত স্থানে এক মা তার সন্তানকে জড়িয়ে শুয়ে আছেন’ দাবি করে যে ছবিটি ফেসবুক ভাইরাল হয়েছে, সেটি আসলে বাস্তব ছবি নয়। বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরিকৃত ছবি।
গত মার্চ মাস থেকেই ছবিটি সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে রয়েছে। অথচ ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের পর আজ মঙ্গলবার ফেসবুকে অনেকেই ছবিটি পোস্ট করে বলেছেন, ‘ছবিটি গতকাল (২৭ মে) ভোলার চরফ্যাশন এলাকার’।
রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, এমনটি বাস্তব ছবিও নয়। গত মার্চ থেকে প্রচার হওয়া ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে তায়েফ রাব্বানী নামে বাংলাদেশি এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে ছবির ক্যাপশনে ছবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। আরও অনুসন্ধান করে গত ৩ থেকে ৭ মার্চ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের (ইউটিউব, এক্স, ফেসবুক) একাধিক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।
এসব পোস্টে ছবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া না হলেও এটা নিশ্চিত যে, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে এতে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। যেমন, নারীটির হাতের আঙুল অস্বাভাবিক লম্বা, পায়ে ছয়টি আঙুলের অস্তিত্ব। এসব দেখে প্রাথমিক অবস্থায় ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি বলে প্রতীয়মান হয়।
রিউমর স্ক্যানার বলেছে, ছবিটি বাস্তব কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবি শনাক্তকরণ ওয়েবসাইটের সহায়তা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটটি থেকে জানা যায়, ছবিটি বাস্তব নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। তাছাড়া, গত মার্চে ভারতের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ‘নিউজমোবাইল’ ছবিটিকে এআই দিয়ে তৈরি বলে জানায়।
রিউমর স্ক্যানারের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি পুরোনো একটি ছবিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে মা ও সন্তানের বাস্তব ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।