একটি দেশের নেতাকে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং অন্য রাষ্ট্রের সাথে চুক্তিতে আসতে হতে পারে। ইতিহাসে এরকম অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা যথেষ্ট আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছে। এরকম তিনটি বিখ্যাত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে।
চেম্বারলিন এর মধ্যস্থতায় ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে যে চুক্তি সই হয়েছিল তা তৎকালীণ চেকোশ্লাভিয়ার জনগণ চেম্বারলিনকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। জার্মান, ফ্রান্স, ইতালি এবং চেম্বারলিন এর মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় 1938 সালে। এর ফলে চেকোস্লাভিয়ার অনেক অঞ্চল এবং মূল্যবান সম্পদ হিটলারের কাছে চলে যায়। মূলত শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য মিউনিখ চুক্তি করা হলেও তা একটি বিশ্বযুদ্ধ তৈরিতে অবদান রেখেছিল।
যুক্তরাজ্য ইউরোপে ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত থাকবে কিনা সেটা জানার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ভোটের আয়োজন করেন। বাস্তবায়নের পর একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, বর্তমানে ব্রিটেনের মানুষ মনে করে যে তাদের জীবনযাত্রার মানের বেশ অবনতি ঘটেছে। অন্য একটি জরিপে দেখা যায় যে, জনগণ এর এক বড় অংশ মনে করে ব্রেক্সিট একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আগামী দুই দশকের যুক্তরাজের অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
২০১১ সালে মিশিগানে তিনটি গাড়ির কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসে। ওই সময় মিশিগানের গভর্নর রিক স্নাইডার অবস্থার উন্নয়নে জরুরি অফিসে লোক নিয়োগ করেন। রাষ্ট্রের ডলার বাঁচানোর জন্য পানির উপর কঠরের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। ২০১৪ সালে পানিতে সিসার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শিশুদের রক্তে সিসার উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। এ ঘটনার পর রিক স্নাইডার ক্ষমা চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।