বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: সারাদিন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে বুঁদ হয়ে থাকছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া যেন এক মুহূর্তও চলে না। আধুনিক যুগে সোশ্যাল মিডিয়া জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। জানেন কি? আজ ৩০ জুন বিশ্বের সব দেশে পালিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া দিবস।
বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হলো কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল তা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা। সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বের প্রতিটি কোণের মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্র্যান্ড প্রচারেও সহায়তা করে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং ঘটনাগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত শেয়ার করা হচ্ছে। আজকের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া গেম চেঞ্জারে পরিণত হয়েছে।
এছাড়াও করোনা মহামারির মধ্যে হতাশাগ্রস্থ মানুষজনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছিল।
২০১০ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবস। বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব এবং বিশ্ব যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর ভূমিকার উপর জোর দেওয়ার জন্য বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবসটি তখন পালিত হয়েছিল।
প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সিক্সডিগ্রিজ ১৯৯৭ সালে বিশ্বব্যাপী চালু করা হয়েছিল। এটি অ্যান্ড্রু ওয়েইনরিচ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০১ সালে সিক্সডিগ্রিজের এক মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী হয়ে যাওয়ার পর এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০০২ সালে লঞ্চ হয় ফ্রেন্ডস্টার নামে আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ২০০৩ সালে আসে লিঙ্কডইন। এরপর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটসহ অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৭২ বিলিয়নে পৌঁছেছে। এখন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরতে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। সূত্র: ডেইজ অব দ্য ইয়ার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।