জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নেয়া হলেও তার পক্ষে ছিল না কোনো আইনজীবী।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমি তিনজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিলো। আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা আমার মেয়ের পক্ষে দাড়ায়নি।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমার মেয়েকে আজ (বুধবার) আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে আমার মেয়ের পক্ষে অ্যাড. জিয়া উদ্দিন, অ্যাড. নাসির ও অ্যাড. গোলাম মোস্তফা কাদেরের দাঁড়ানোর কথা ছিলো। কিন্তু কী কারণে দাঁড়ায়নি আমি বলতে পারব না।
তিনি বলেন, তবে ধারণা করছি, প্রতিপক্ষের ভয়ে হয়তো কোন আইনজীবীই দাঁড়ায়নি। এ ছাড়া খুব অল্পসময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, সে কারণে হয়ত সব কাগজপত্র রেডি করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অ্যাড. জিয়া উদ্দিন বলেন, আমাকে মোজাম্মেল তার মেয়ের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলো। কিন্তু আমি তার পক্ষে দাড়াইনি।
তবে কী কারণে দাঁড়াননি এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
অন্য আইনজীবী অ্যাড. গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, হঠাৎ করে আমাকে মিন্নির পক্ষে দাঁড়াতে বলেছিল কিন্তু ওকালতনামায় স্বাক্ষর না থাকায় আমরা মিন্নির পক্ষে দাঁড়াতে পারিনি। কোনো আইনজীবী তার পক্ষে না দাঁড়াতে পারলেও বিচারক তাকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিল। মিন্নিই তার পক্ষে তার বক্তব্য পেশ করেছিলেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, যদি কোনো আইনজীবী আসামি পক্ষে দাঁড়াতে চায় এবং সে বিষয়টি আদালতের বিচারকের কাছে আর্জি জানায়, তাহলে বিচারক তাকে আসামি পক্ষে কথা বলার সুযোগ দেয়।
তিনি আরো বলেন, মিন্নিকে যখন আদালতে হাজির করা হয়েছিল বিচারক তখন উপস্থিত আইনজীবীদের বলেছিলো কেউ আসামি পক্ষে দাঁড়াতে চায় কি না। কিন্তু তখন কোনো আইনজীবী আসামিপক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলেনি। বিচারক মিন্নিকেই তার কথা উপস্থাপনের সুযোগ দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।