আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও ৮৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে জান্তা সরকার। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রথমবারের মতো বিদেশি ত্রাণ মিয়ানমারে পৌঁছেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে জান্তা সরকার বিদেশি সাহায্যের জন্য বিরল আবেদন জানায়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার পত্রিকায় জানানো হয়, জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ছয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে পুনর্বাসন কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
টাইফুন ইয়াগি উত্তর ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার অতিক্রম করে প্রায় এক সপ্তাহ আগে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অঞ্চলজুড়ে ৫৮৮ জন নিহত হয়েছেন বলে সরকারি পরিসংখ্যানে জানা গেছে। মিয়ানমারের ৫৬টি শহরে ব্যাপক বন্যার কারণে ২৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এখনও ৮৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে বুধবার জান্তা সরকারের তথ্য বিভাগ জানিয়েছে।
বন্যায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর ধান ও অন্যান্য ফসল ডুবে গেছে এবং ১ লাখেরও বেশি খামারের পশু মারা গেছে। এর আগে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৬ এবং নিখোঁজ ৭৭ জন জানানো হয়েছিল।
বন্যার কারণে মিয়ানমারের জনগণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘর্ষের কারণে ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারে ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষের সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
বুধবার ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ইয়াঙ্গুনের থিলাওয়া বন্দরে শুকনো খাবার, পোশাক, ওষুধ ও তাঁবুসহ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।