মিষ্টি আলু বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে খুশি কুমিল্লার চাষিরা
জুমবাংলা ডেস্ক: হাইব্রিড জাতের তুলনায় দেশি স্থানীয় জাতের আলুর বেশি ফলন হয়েছে। কুমিল্লায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। এখানকার চাষিদের উৎপাদিত মিষ্টি আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। কৃষকরা স্থানীয় জাতসহ হাইব্রিড জাতের মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন।
কৃষকরা অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে মিষ্টি আলুর চারা রোপন শুরু করেন। পরিপক্ক হতে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। তারপরই শুরু হয়ে তোলার কাজ। বর্তমানে চাষিরা মিষ্টি আলু তোলার উৎসবে মেতেছেন। পুরুষরা কোদাল দিয়ে মাটির নিচ থেকে আলু বের করছেন। আর মহিলারা সেই আলুগুলো কুড়িয়ে নিয়ে এক জায়গায় স্তুপ করে রাখছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় চলে যায়। পাইকাররা জমি থেকেই বস্তা ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন।
কুমিল্লা জেলার সাতটি উপজেলায় এবার মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৫৯০ হেক্টর। চাষ কম হলেও মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষক জাকির হোসেন বলেন, আমি এবছর দেড় একর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। ৩৭৫ মণ ফলন পেয়েছি। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ আলু ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি আলু চাষে আমার ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এতে ৯০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। দেড় লাখ টাকার বিক্রি করেছি।
একই গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া হোসেন ও আবিদ মিয়া বলেন, আমরা আগে বাদাম ও মিষ্টি লাউ চাষ করতাম। লাভের পরিমান কম হওয়ায় মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করি। অন্যান্য ফসল ও সবজির তুলনায় মিষ্টি আলুর চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। আর বিক্রি করতেও আমাদের অসুবিধা হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই আলু কিনে নিয়ে যায়। ঢাকা জুরাইন থেকে আসা এক মিষ্টি আলুর পাইকার সোহেল মিয়া বলেন, কুমিল্লার আলু খেতে খুব সুস্বাদু। তাই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বৈশাখ মাস পর্যন্ত আলু নেওয়া যায়। তারপর আর থাকে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রশীদ বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা মিষ্টি আলুর ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে আমরা সব সময় কৃষকদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরামর্শ সহযোগিতা করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।