জুমবাংলা ডেস্ক: আধুনিক পদ্ধতিতে মাঁচায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে যশোরের কেশবপুর উপজেলার কৃষকরা। খবর ইউএনবি’র।
সে কারণে প্রতি বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নে। গ্রামের মাঠে মাঠে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে গ্রামটি মিষ্টি কুমড়ার গ্রাম হিসেবেও পরিচিত।
মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। যে কারণে প্রতিবছর এই গ্রামটিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে মাঁচায় ব্যাপকভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাঁচায় চাষ করা কুমড়ার ক্ষেতে বাম্পার ফলন ধরায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।
মাঁচায় মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত পরিচর্যা করার সময় কৃষক নজরুল ইসলাম গাজীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গত চার বছর ধরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছেন তিনি। প্রথম বছর ২০ শতক জমিতে চাষ করে ভাল ফসল পাওয়ায় এ চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। পরের বছর চাষ বৃদ্ধি করে ভাল লাভবানও হন। এবার তিনি ৬০ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বাম্পার ফলনের কারণে এ বছর লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
একই গ্রামের কৃষক হাসান আলী সুজন মিয়া সহ প্রায় দেড় শতাধিক কৃষকের ক্ষেতেও মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন ধরেছে।
গ্রামের শিক্ষিত যুবক শামীম আহম্মেদ রাজু বলেন, কৃষকরা মাঁচায় আধুনিক পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সাড়া ফেলায় গ্রামটি এখন মিষ্টি কুমড়ার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক ২৫০ বিঘা জমিতে এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সাড়া ফেলেছেন।
কৃষক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রির জন্য হাট বাজারে নিয়ে যাওয়া লাগে না। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে এসেই কিনে নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রেও কৃষকরাও লাভবান হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, মাঁচায় আধুনিক পদ্ধতির মিষ্টি কুমড়ার চাষ অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব। মাছি ও অন্যান্য পোকা দমনের জন্য সেক্র ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে, যা পরিবেশ বান্ধব। এ চাষে কীটনাশক ব্যবহার না করলেও চলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।