মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ নুজহাত তাবাসসুম এফা। সম্প্রতি টোকিওতে অংশ নিয়েছেন মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪-এ। তার প্রথম ইন্টারন্যাশনাল প্যাজেন্ট ছিল মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩, যেটাতে তিনি শীর্ষ দশে ছিলেন।
তিনি বলেন, আমি মডেলিং করছি ১০ বছর ধরে এবং আমি কারও স্টুডেন্ট না। তবে আজরা আপুর সঙ্গে আমি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছি ৭ বছর। এ বছরই আপু আমাকে ফোন করে বলেন, একটা প্যাজেন্ট আছে, মিস ইন্টারন্যাশনাল। এটা বিশ্বের শীর্ষ তিন প্যাজেন্টের একটা। মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ড, এরপরেই মিস ইন্টারন্যাশনাল। এটা আমার জন্য বড় একটা সুযোগ ছিল। এরপর আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প থেকে আমার ছবি পাঠানো হয়।
শুরু হয় প্রস্তুতি। হাতে তিন মাস সময় ছিল। এর মধ্যেই আউটফিট বাছাই থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুর প্রস্তুতি নিতে থাকি। নিজের সবকিছু নিজেকেই করতে হয়েছে। ওরা বিশেষ কিছু রাউন্ড কিংবা গালার জন্য হয়তো মেকআপ আর্টিস্ট দেবে, তবে সেটা সব সময় নয়। নিজের প্রস্তুতি নিজেকেই নিতে হয় সব সময়।
মিস ইন্টারন্যাশনালে আলাদা মেকআপ আর্টিস্ট, ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফার নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। মূলত বাইরের কেউ অ্যালাওড না। আমাদের দুটি ফ্লোরে রাখা হয়েছিল। মেয়েদের ফ্লোরে শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
প্রতিটা দিনই গেছে ব্যস্ততার মধ্যে। তবে রাত ১০টার মধ্যেই আমাদের ছেড়ে দিত। ১২টার মধ্যে আমি ঘুমিয়ে পড়তাম। ঘুমানোর আগে পরের দিনের পোশাক আয়রন করে রাখতাম। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে উঠে যেতাম ঘুম থেকে। উঠে মেকআপ করতে করতে ব্রেকফাস্টের সময় হয়ে যেত। অনেক সময় বড় ইভেন্ট থাকলে সময় বাঁচাতে ব্রেকফাস্টও করতাম না। যেহেতু আমাকে নিজেই মেকআপ করতে হবে।
জাপানে মিসো স্যুপ ও সুসি সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমার। তবে একটা বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা বলতেই হয়। প্রতিযোগীদের একটা বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একদিন। রেস্টুরেন্টের মালিক আমাদের সামনে বিশাল আকারের একটা টুনা মাছ কাটলেন। তারপর স্লাইস করে আমাদের সবাইকে খেতে দিলেন। ওই মাছ এভাবে কাটতে দেখে আমার পক্ষে আর খাওয়া সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।