আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি কলেজসহ পাঁচটি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিদ্রোহীরা। বৃহস্পতিবারের এসব হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাতে জানা যায়। নিহতদের অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এদিন বিদ্রোহীরা পুলিশের একটি দপ্তরও পুড়িয়ে দিয়েছে।
শান রাজ্যের পায়িন উ লউয়িন শহরে ডিফেন্স সার্ভিস টেকনোলজিক্যাল একাডেমিতে ও অপর চারটি জায়গায় হামলার দায় স্বীকার করেছে ঐ অঞ্চলে তত্পর বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট নর্দান অ্যালায়েন্স। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তুন তুন নাই জানিয়েছেন, নাউং চো শহরে গোকটেক ভায়াডাক্ট রেলওয়ে সেতুর কাছে সৈন্যরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে পার্বত্য এই রেলসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বিদ্রোহীরা আরেকটি সেতু ধ্বংস করার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পুলিশের একটি দপ্তরও পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে সংখ্যাটি এখনই নিশ্চিত করতে পারবো না আমরা।’ শান রাজ্যের বৃহত্তম শহর লাশিওমুখী মহাসড়কের একটি টোলগেটেও লড়াই চলছে বলে দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কয়েক দশক ধরেই এই অঞ্চলটিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে। সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অধিক স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী এখানে লড়াই করছে। এ হামলায় ঐ লড়াই আরো তীব্র হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।