জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার গাবতলীতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা শিশুকে বাড়ির কাছে পুকুরে ওই শিশুটির মরদেহ ফেলে রাখা হয়। অবশেষে মুক্তিপণ না পেয়ে দেড় মাস পর অপহরণকারী নিজেই ফোন করে মরদেহের সন্ধান দেয় পরিবারকে। অপহরণকারীর ফোনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলা রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের নিশুপাড়া গ্রামে। আর অপহৃত শিশু হানজেলা (৬) নিশুপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী পিন্টু মিয়ার ছেলে।
রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও নিশুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়া জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে শিশু হানজেলা অপহৃত হয়। ঘটনার দিনই বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করা হয়। ছেলে অপহরণের খবর পেয়ে দুদিন পর তার বাবা দেশে ফিরে আসেন। এদিকে ওই শিশুর মা তাছলিমার মোবাইলে ফোন করে প্রথমে ৫ লাখ ও পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। টাকা না দিলে ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে জানায়। শিশুটির বাবা-মা অপহরণকারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে থানা পুলিশের কাছে ধর্না দেন। কিন্তু গত ১ মাস ১০ দিনেও শিশুটি উদ্ধার কিংবা অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি গাবতলী মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যে নম্বর থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল সেই একই নম্বর থেকে শিশুটির মাকে ফোন করে টাকা না পাওয়ায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সাথে তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহ আছে বলেও জানায় অপহরণকারী। পরে পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো এবং ইট বেঁধে পানিতে ডুবে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অপরাধী যে কেউ হোক, অতি দ্রুত অপরাধীকে ধরা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।