বিনোদন ডেস্ক : মুক্তির পর রীতিমতো উড়ছে ব্যাটম্যান। গথাম সিটির হিরো কিংবা রহস্যময় চরিত্রটি নিয়ে এর আগে সিনেমা কম হয়নি। কিন্তু ম্যাট রিভস পরিচালিত দ্য ব্যাটম্যান অনেক হিসাবনিকাশ বদলে দিয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিনেই ৫ দশমিক ৭ কোটি ডলার আয় করেছে। যদিও এর মধ্যে ২ দশমিক ১৬ কোটি ডলার ছিল বৃহস্পতিবারের প্রিভিউ স্ক্রিনিং থেকে পাওয়া। তবে কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে দ্য ব্যাটম্যান যেভাবে শুরু করেছে, ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম সপ্তাহেই সিনেমাটি ১২-১৩ কোটি ডলার ঘরে তুলবে। এরই মধ্যে ৫ কোটি ডলার আয় নিয়ে ২০২২ সালের বৃহত্তম হিট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সিনেমাটি।
অবশ্য, ব্যাটম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে সিনেমাটি নোলানের দ্য ডার্ক নাইট, দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস এমনকি জ্যাক স্নাইডারের ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান: ডন অব জাস্টিসের চেয়ে বেশি ব্যবসা করেছিল। সিনেমা তিনটির প্রথম সপ্তাহের আয় ছিল যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৮, ১৬ এবং ১৬ দশমিক ৬ কোটি ডলার। কিন্তু ম্যাট রিভসের দ্য ব্যাটম্যান সিনেমাটি ব্যাটম্যানের অন্যান্য সিনেমা থেকে আলাদা। নতুন চিন্তা, ভিন্ন ধরনের কাস্টিং ও থিম নিয়ে রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন রিভস।
ব্যাটম্যানের চরিত্রে রবার্ট প্যাটিনসনকে দর্শক গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়েই ছিল সবচেয়ে বড় শঙ্কা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ব্যাটম্যানরূপে প্যাটিনসন প্রশংসিত হচ্ছেন। ক্যাটওম্যান হিসেবে জো ক্রেভিটজের সঙ্গে ব্যাটম্যানের রসায়ন ভালো হয়েছে বলে সবাই মনে করছেন। তবে এ সিনেমায় জেমস গর্ডনের চরিত্রে জেফরি রাইট ভিন্ন সংযোজন ছিলেন। আলফ্রেড পেনিওয়ার্থের চরিত্রটি অ্যান্ডি সার্কিসকে দেয়াকেও নিরীক্ষা বলা যায়। এতসব নিরীক্ষার মধ্যেও সিনেমাটি দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
দ্য ব্যাটম্যানের আরেকটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, সিনেমাটি দর্শককে পুনরায় থিয়েটারে ফিরিয়ে আনছে। স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোমের পর আনচার্টেড ভালো ব্যবসা করলেও আশা জাগিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ডেথ অন দ্য নাইল। সেখানে দ্য ব্যাটম্যান ব্যবসায়িক দিক থেকে দারুণ সফল। অন্যদিকে মার্ভেলের তুমুল জনপ্রিয়তার মধ্যে মহামারীর আগে যেখানে ডিসির দ্য জোকার (২০১৯) ১ দশমিক ৩৩ কোটি এবং আকুয়াম্যান (২০১৮) ১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলায় আয় করেছিল, সেখানে কভিড-পরবর্তী সময়ে দ্য ব্যাটম্যানের আয় ডিসিকে উজ্জীবিত হতেও সহায়তা করবে। এছাড়া ব্যাটম্যানের সিনেমার প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে রিভস যা দেখিয়েছেন, সুপারহিরো সিনেমার ধারায় পরিবর্তনেও সিনেমাটি প্রভাব ফেলতে পারে।
সুপারহিরো চরিত্রদের মধ্যে কে সেরা এ নিয়ে ফ্যানদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। তাদের তর্ক বা যুক্তির অন্যতম অনুষঙ্গ হলো কোন চরিত্রটি উড়তে পারে এবং কোনটি পারে না। এ ধরনের তর্ক কিশোর ফ্যানদের মধ্যেই হয় এবং বড় পরিসরে তর্কটা বদলে যায়। কমিক থেকে সিনেমার পর্দায় আসলে কোন সিনেমাটি জনপ্রিয় হলো, নায়ক কতটা সুপারহিরো হয়ে উঠলেন তা নিয়ে তর্ক হয়। সেখান থেকে বলা যায় ম্যাট রিভসের সিনেমার সাফল্যের পর ব্যাটম্যান রীতিমতো উড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।