জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লৌহজং উপজেলার সকল হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্বর জন্য গোলাকৃতি বৃত্ত একে রাখার পরও অনেকেই তা মানছে না। খবর ইউএনবি’র।
এদিকে মঙ্গলবার উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রায় হাটে ছিল অনেক লোকের উপস্থিতি।
করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হলেও প্রতি মঙ্গলবারের মতো লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালীমান্দ্রা হাটে ছিল মানুষের ঢল। সেখানে গিয়ে দেখা যায় গা ঘেঁষে লোকজন দোকানিদের থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন।
লৌহজংসহ পাশের দুটি উপজেলা এবং ফরিদপুর, মাদারীপুর, শিবচর ও মাদবরের চর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসায় এ হাটে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।
সকাল সাড়ে ১০টায় লৌহজং থানায় বিষয়টি জানানো হলে গোয়ালীমান্দ্রা হাটে আসেন লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন। এসময় পুলিশের তাড়া খেয়ে লোকজন পালাতে থাকে। জনসমাগম নিষেধ থাকায় এবং তা অমান্য করায় পুলিশ হাটের সভাপতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে লৌহজং উপজেলার ঘোড়াদৌড়, মালি অংক, নওপাড়া, বড়মোকাম বাজারেও একই চিত্র দেখা গেছে। রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা বেশি দেখা গেছে। বিশেষ করে গ্রামের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে চা ও মুদি দোকানেও মঙ্গলবার ভিড় দেখা যায়। এসব দোকানগুলোতে চা বিক্রির পাশাপাশি মুদি দোকান খোলা রাখা হয়েছে। মুদি দোকান খোলা রেখে তার ভেতরে চায়ের আড্ডা চলছে রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। শুধু ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান খোলা রেখে সব বন্ধ রাখার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের ৫-৬টি টিম সার্বক্ষণিক প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। রাতে বিভিন্ন চায়ের দোকানে হানা দিচ্ছে। এরপর তারা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখলেও লোকজনের চাপের মুখে আবার তা খুলে চা বিক্রি করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।