জুমবাংলা ডেস্ক: শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁয় প্রচুর পরিমাণে শীতের শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে বাজারে আমদানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। সবচেয়ে কম দামের সবজি প্রতিকেজি পাইকারি বাজারে ১-২ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাষিরা।
তবে সবজি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত জেলা বদলগাছী উপজেলা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকে শাকসবজি প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। শীতকালীন প্রচুর শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেগুন, ফুলকপি, পাতাকপি, পালং শাক, মুলা, টমেটো, বরবটি, করলা, লালশাক এবং লাউ।
বৃহস্পতিবার (৮ডিসেম্বর) জেলার বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি সাদা বেগুন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, লাল বেগুন ১০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা কেজি। নতুন দেশি লাল আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজি, লাল সিম ৩০ টাকা ও সাদা সিম ৪০-৪৫ টাকা কেজি। সবচেয়ে কমদামের সবজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১-২ টাকা কেজি। এ ছাড়া প্রতি পিস ফুল কপি ১২-১৬ টাকা ও বাধাকপি ২৫-৩০ টাকা এবং লাউ ১৫-১৮ টাকা পিস বিক্রি হয়। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজি প্রকারভেদে ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এখন সবজির ভর মৌসুম। বাজারে আমদানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে। দাম কমায় হওয়ায় উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।
উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে সিম বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। এখন ৪৫-৫০ টাকা কেজি। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম বেশি। যখন সবজি দাম বেশি ছিল তখন পুষিয়ে নেওয়া গেছে। কিন্তু এখন অর্ধেক দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে উৎপাদন খরচ ওঠানো কষ্টকর হবে।
ভান্ডারপুর গ্রামের রাজু দেওয়া বলেন, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম মুলা। প্রকার ভেদে ১-২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মনে হচ্ছে মুলার আবাদ করে আমরা ভুল করেছি।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, জেলায় চলতি রবি ২০২২-২৩ মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে ইতোমধ্যে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে শাকসবজির দাম কিছুটা বেশি থাকলেও উৎপাদন বেশি হওয়ায় কমেছে দাম। তবে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।