স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে ব্যর্থতার পর বিশ্বমঞ্চেও ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে টাইগার স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তে পারেন তিনি। এবার সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম।
বাজে পারফরম্যান্সের কারণে প্রত্যাশিতভাবেই বাদ সৌম্য-লিটন। তবে মুশফিকের বাদ পড়া নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, হয়ত মুশফিকের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে গেল! তবে সেসব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অধীনে সামনে অনেকগুলো টেস্ট আছে। আর তাই তাকে সেই ম্যাচগুলোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতেই এখন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
নান্নু আরও বলেন, মুশফিক আমাদের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। পরপর চারটি টেস্ট ম্যাচ আছে আমাদের। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়েও দুটি টেস্ট খেলতে হবে। আমরা চাচ্ছি, মুশফিক যেন এখন থেকেই সেই ম্যাচগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সেরাটা দিতে পারে। আর এ জন্যই এখন তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
আগে থেকেই জানা গিয়েছিল চোটের কারণে পাকিস্তান সিরিজের টি-টোয়েন্টি খেলতে পারছেন না তামিম। নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) খেলতে গিয়ে বাঁ হাতে চোট পেয়ে মাসখানেকের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান তামিম। এরপর ছিটকে গেলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও। আর তাই টেস্ট সিরিজে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভরসা হয়ে উঠছেন মুশি।
গত জুলাই থেকেই লাল-সবুজের জার্সিতে খেলছেন না তামিম। হাঁটুর চোটে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি। এমনকি ছিলেন না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।
বিশ্বকাপ চলাকালেই টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং সাইফুদ্দিনও ইনজুরির কাছে হার মেনে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তাই পাকিস্তান সিরিজে তাদেরও পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২০ ও ২২ নভেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।
টি-টোয়েন্টি শেষে দুই দল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৬ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।