আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছু দিন আগেই হায়দরাবাদের জনৈক ব্যক্তি একটি জনপ্রিয় অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাকে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন, কোনও মুসলমান ব্যক্তিকে দিয়ে খাবার পাঠানো হোক, তা তিনি চান না। এই বার এমন সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তেলঙ্গানার বহু মানুষ।
তেলঙ্গানার গাড়িচালক সংগঠনের অন্যতম পদাধিকারী শেখ সালাউদ্দিন ওই ব্যক্তির মেসেজের স্ক্রিনশট পোস্ট করে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার কাছে অনুরোধ জানান। সালাউদ্দিন নিজেও একটি সংস্থার হয়ে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সরবরাহ করে থাকেন। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘আমরা (অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী) হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, শিখ প্রত্যেক ধর্মের মানুষের কাছেই খাবার পৌঁছে দিয়ে থাকি।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে এমন ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্যের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
সংস্থাটির তরফে অবশ্য এখনও সালাউদ্দিনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। আগেও বেশ কয়েক বার ডেলিভারি বয়দের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁদের কাছ থেকে খাবার নিতে অস্বীকার করেছেন বহু মানুষ।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে হায়দরাবাদেরই বাসিন্দা অজয় কুমার খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করেন, খাবারে মশলা কম ছিল এবং খাদ্য সরবরাহকারী ছেলেটি মুসলমান ছিল। তাই তিনি ‘নেগেটিভ রেটিং’ দিয়েছিলেন। সঙ্গে অনুরোধ করেছিলেন, যেন পরের বার থেকে খাবার দিতে কোনও হিন্দু ছেলেকে পাঠানো হয়। ওই একই বছরে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে। জনৈক অমিত শুক্ল অ-হিন্দু ডেলিভারি বয় খাবার দিতে আসায় অর্ডার বাতিল করে দিয়েছিলেন। খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার তরফে সেই সময় ওই ব্যক্তিকে জানানো হয়, ‘খাদ্যের কোনও ধর্ম হয় না।’
হায়দরাবাদের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশিষ্টরাও। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তি চিদম্বরম এই ঘটনায় টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, একের পর এক এমন ঘটনা ঘটার পরেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? বহু নেটাগরিককে কার্তির মন্তব্যকে সমর্থন করতে দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।