দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নিত্যপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে। সেজন্য সরবরাহ পর্যায়ে যারা ব্যবসা করেন তাদের রেজিস্ট্রেশন করাটা দরকার।
রাজধানীর এক হোটেলে সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের পরামর্শ দেন। এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন অংশ নেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন যে, শেখ হাসিনার আমলে যারা ধনী ছিল তারা আরো ধনী হয়েছে এবং তাদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রমজান মাসের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ এবং দাম যেন সঠিক থাকে এবং বাজার জন্য স্থিতিশীল থাকে তার জন্য তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বছরের পর বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল রয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ, আলু, ডিম ও মুরগি ইত্যাদির দাম দরিদ্র মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।
সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও তা কোন কাজে আসেনি। যেমন আমদানি শুল্ক কমানো বা সুদহার বাড়ানো। গবেষকরা মনে করেন যে, এ সমস্ত পদক্ষেপ বাজার ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন যে, চালের কোন সংকট যেন বাজারে না থাকে সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আমদানি করা হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, সামনে রোজার সময়ে খেজুর বা চিনির মত পণ্যের কোনো সংকট থাকবে না। রমজান মাস নিয়ে কাউকে চিন্তিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। বাজারে কোন সংকট থাকবে না।
রোববার খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক দাম নিশ্চিতে করণীয় নিয়ে আয়োজিত এ সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশে আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্যের দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়া দেশের বাজারের পণ্যভিত্তিক তথ্য সরকারের কাছে নেই।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘প্রত্যেকের ম্যান্ডেটরি লাইসেন্স থাকতে হবে। এটা যেন বজায় থাকে তা দেখতে হবে। একজন ডিস্ট্রিবিউটার শুধু এক ধরনের পণ্য সরবরাহ করবে, বিপণন ও বিক্রি করবে এটি বন্ধ করতে হবে।’
প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করার যুক্তি তুলে ধরা হয় সেমিনারে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণের তাগিদ দেন বক্তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘প্রত্যেকটা জায়গায় চাঁদাবাজির নামে লুটপাটের এই ট্রেডিশনটা বন্ধ হওয়া উচিত। এটা রাজনীতিবীদদের পক্ষ থেকে এই কাজটা তাদের করতে হবে।’
এনবিআরের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ‘ব্যাপকভাবে খেজুরে ছাড় দেওয়া হয়েছে আগামী রমজানকে সামনে রেখে। সেখানে কিন্তু বিভিন্ন দামের খেজুর আছে। আমরা হিসেব করে দেখেছি ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিকেজিতে দাম কমার কথা। অথচ আমরা আজকে শুনলাম খেজুরের দাম বাড়তি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।