আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আকস্মিক মেগি ঝড়ে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূলের বেশ কয়েকটি বন্যাকবলিত এলাকায় আটকা পড়ে আছেন অনেকে। চলছে উদ্ধার কাজ। স্থানীয় সময় রোববার (১০ এপ্রিল) আঘাত হানে এই ঝড়। খবর আল জাজিরা’র।
স্থানীয়ভাবে আগাটন নামে পরিচিত ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০মাইল)। ঝড়ের আঘাতে বেবে শহরের আশপাশের ছয়টি এলাকায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৭ জন।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে মধ্য প্রদেশ নিগ্রোস ওরিয়েন্টালে তিনজন এবং দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ মিন্দানাওয়ে মারা গেছেন আরও তিনজন। আরেকটি গ্রাম লেইতে পাঁচজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। স্থানীয় একজন রেডিও অপারেটর রেমার্ক লাস্কো বলেছেন আরও অনেক লোক মারা গেছেন ঝড়ের কবলে পড়ে।
দেশটির সেনাবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার নোয়েল ভেস্তুইর দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, বহু বাড়িঘর, স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে ঝড়ের কারণে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সুপারটাইফুন রাইয়ের আঘাতের চার মাস পর আবারও মেগি ঝড়ের কবলে পড়লো ফিলিপাইন। রাইয়ের আঘাতে ফিলিপাইনে চারশোর বেশি মানুষ নিহত হন এবং আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন আরও অনেকে। জানা গেছে, প্রতিবছর ফিলিপাইন এরকম গড়ে ২০টি বড় ঝড়ের কবলে পড়ে। বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে এমন ঝড়ের আশঙ্কার কথা অনেক আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।