জুমবাংলা ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগারগুলোতে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, সেটি জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখা নিয়ে গত ১৮ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ২০ সেপ্টেম্বর রিটটি করা হয়।
রিটকারীরা হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির এবং কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। তাদের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।
এতে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দি, কনডেম সেলের সংখ্যা, কারাগারের সংস্কার, ব্যবস্থাপনা, কনডেম সেলের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছিল আদালত।
সে অনুযায়ী কারা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মোড়ল।
তিনি জানান, দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন মোট ১ হাজার ৯৮৭ জন কয়েদি। এর মধ্যে পুরুষ কয়েদি রয়েছেন ১ হাজার ৯৩৩ জন এবং নারী কয়েদি ৫৪ জন। তবে দেশে মোট কনডেম সেলের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৯টি।
এরপর আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য কারাগারে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেটি জানাতে নির্দেশ দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।