বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে নিরুদ্ধেশ হওয়া,মামলায় মৃত মামুন জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ, ডিবি ও সিআইডির ৬ কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাকে তলব করেছেন নারায়ণগঞ্জের আদালত। একইসঙ্গে এ ঘটনায় লিখিত তদন্ত প্রতিবেদনও চেয়েছেন অত্র আদালত।
শুক্রবার (২অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে চার্জশিট পর্যন্ত পুলিশ ও সিআইডির যে ৬ জন কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত তদন্ত প্রতিবেদনসহ আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন আরও দুই কর্মকর্তাকেও তলব করা হয়েছে।
আদালতের যে কর্মকর্তাদের তলব করেছেন- ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান, এসআই সফিকুর রহমান, এসআই আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ পরির্দশক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ সিআইডি উপপরিদর্শক জিয়াউদ্দিন উজ্জল। এ ছাড়াও অপর আরও দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছেলে নিখোঁজের দুই বছর পর ছেলেকে অপহরণ গুম করা হয়েছে বলে মামলা করেছিলেন বাবা আবুল কালাম। এ মামলায় ছেলে মামুনের প্রেমিকা তাসলিমাসহ ছয়জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে আদালতে এক আসামিকে প্রেরণ করার সময়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জানা গেছে আসামিরা মামুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। শীতলক্ষ্যা নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়।
নিখোঁজের ৬বছর পর গত বুধবার (৩০সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির হন মৃত মামুন।মামুন আদালতকে জানান, বাবা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। তাকে কেউ অপহরণ করেনি। মামলা করেছেন তার বাবা।
২০১৬ সালের ৯ মে এ ঘটনায় ফতুল্লায় মডেল থানায় অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে মামলা করেন আবুল কালাম। মামলায় আসামি করা হয় মামুনের প্রেমিকা তাসলিমা, তার বাবা রহমত উল্লাহ, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর, সোহেল ও ছাত্তার মোল্লাকে। এ মামলায় তাসলিমা দেড় বছর কারাভোগ করেছেন। এছাড়া তার বাবা, ভাইসহ অন্য স্বজনরাও বিভিন্ন মেয়াদে জেল হাজতে ছিলেন।
মামলার এজাহারে মামুনের বাবা অভিযোগ করেন, তাসলিমার সঙ্গে তার ছেলে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জের ধরে মামুন ২০১৪ সালের ১০ মে তাসলিমাদের ভাড়া বাসায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার লামপাড়া এলাকায় আসে। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় মামুন। মামুনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন শাখারীপাড়ায়। তাসলিমাদের বাড়িও একই এলাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।