চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে একটি কার্গো জাহাজ থেকে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি পাচারের চেষ্টার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে জাহাজের মাস্টারও রয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান মুন্না (২৭), মো. শফিকুল (২৮), মো. নুরুজ্জামান (৩২), মো. মানিক (৩৮), শরীফ মির্জা (৪০), মজিবুর রহমান সর্দার (৪০), বাচ্চু বেপারী (৩৫) ও মাস্টার আইয়ুব মৃধা (৪৫)।
চাঁদপুর সদর নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিলাল আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নৌ পুলিশ জানায়, গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে এমভি সি ওয়েস্টিন-১ নামের একটি জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি বোঝাই করে নারায়ণগঞ্জের আব্দুল মোমেন চিনি কলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ৪ আগস্ট চাঁদপুর পৌঁছানোর পর জাহাজটি নির্ধারিত গন্তব্যে না গিয়ে মেঘনা নদীতে অবস্থান নেয়। পরদিন ৫ আগস্ট রাতে মাস্টার আইয়ুব মৃধা ও তার সহযোগীরা জাহাজের অন্যান্য সদস্যদের খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে ফেলেন। এরপর চিনি পাচারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন তারা।
ঘটনার কয়েকদিন পর, ৮ আগস্ট এমভি সি ওয়েস্টিন-১ এর এক কর্মকর্তা সনু কুমার ত্রিপুরা বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিলাল আজাদ জানান, ঘটনার পরপরই জাহাজের মাস্টার আইয়ুব মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার চাঁদপুর শহর, ফরিদগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার আটজনকে চাঁদপুর আদালতে হাজির করা হলে চারজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত বাকি তিনজনসহ মোট সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নৌ পুলিশ জানায়, পুরো ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।