প্রচণ্ড গরমে ঘামতে ঘামতে আকাশে মেঘ জমতে দেখলে মনে একটা স্বস্তি দেখা যায়। কারণ মেঘ জমলেই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মনে হয়। এ সময় অনেকেই হয়তো ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে’ ছড়াটি গুনগুন করেন। প্রচণ্ড গরমে অনেক এলাকায় এখনো বৃষ্টির প্রত্যাশায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার রীতিও প্রচলিত আছে। কদিন আগে নওগাঁয় ঘটল তেমনই একটা ঘটনা।
আকাশে মেঘ জমে থাকলে সূর্য আড়াল হয়ে যায়। তাই সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানে, মেঘাচ্ছন্ন দিনে বা সূর্যের অনুপস্থিতিতে গরম কম লাগার কথা। অথচ ঘটে উল্টোটা। ব্যাপারটা যতই অদ্ভুত লাগুক, এর পেছনে আছে সহজ একটি ব্যাখ্যা। আমরা সবাই জানি, সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়। এই তাপ বিকিরণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয় পৃথিবী।
কিন্তু আকাশ মেঘলা থাকলে সেই তাপ পৃথিবীর সীমা ছেড়ে বাইরে বের হতে পারে না। ফলে তাপটা মেঘে প্রতিফলিত হয়ে আবার ফিরে আসে পৃথিবীতেই। কারণ মেঘের তাপ প্রতিফলত করার ক্ষমতা বেশি। ফলে পৃথিবী ঠান্ডা হবার বদলে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আবার মেঘলা দিনে বাতাসের আদ্রর্তাও থাকে অনেক বেশি। ফলে শরীরের ঘামও সহজে শুকাতে চায় না। তাই শরীরে এক অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। এ কারণেই মেঘলা দিনে আমাদের বেশি গরম লাগে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।