মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ ব্যবহার করলে যা হয়

মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ

মেকআপ সামগ্রী সকলের কাছেই খুব শখের। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও অনেকে তা ফেলতে পারেন না। তবে স্কিন কেয়ারের সামগ্রী, মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ব্যবহার করলেই বিপদ। মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ ব্যবহারে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ত্বক, চোখ, চুলের ছোটো বড় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শখের দামি জিনিস ফেলে দিতে কষ্ট হলে, ব্যবহারের আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে রাখা উচিত।

অনেক সময় দেখা যায় প্রসাধনের কৌটো বা টিউবে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখের উল্লেখ নেই কিংবা তারিখটি উঠে গেছে। তখন সেটি আদৌ ব্যবহারযোগ্য কি না তা বোঝা যাবে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী রাখতেও যত্ন প্রয়োজন।

জেনে নিন মেকআপ সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে বোঝার উপায়—

– লিপস্টিকের উপাদানে পানি থাকলে তা বছরখানেক পর্যন্ত ভালো থাকে। উপাদানে পানি না থাকলে লিপস্টিক তিন বছর অবধি ব্যবহার করা যায়।

– লিপগ্লস বছরখানেক পর্যন্ত ভালো থাকে। উপাদানে পানি থাকলে আরও আগে নষ্ট হয়ে যায়।

– নেলপলিশ তিন বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে।

– ব্লাশঅন তরল, পাউডার বা ক্রিমজাতীয় যেমনই হোক না কেন, তিন বছর অবধি ব্যবহার করা সম্ভব।

– আইশ্যাডোর উপাদানে পানি থাকলে এক বছরের মধ্যে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পানিহীন আইশ্যাডো অবশ্য ২-৩ বছর পর্যন্ত নিরাপদ থাকে।

– পেন্সিল আইলাইনার এবং মাসকারা ৩-৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তরল আইলাইনার অবশ্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

– কনট্যুর বা ব্রোনজারে পানি না থাকলে তিন বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

– তরল, পাউডার বা ক্রিমজাতীয় ফাউন্ডেশন দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

– কনসিলার তরল হলে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। ক্রিমজাতীয় হলে এক থেকে দেড় বছর এবং পাউডারজাতীয় হলে দুই বছর ঠিক থাকে।

– পারফিউম বা বডি স্প্রে সাধারণত ব্যবহার করা যায় ৩-৫ বছর।

– মুখের ক্রিম তিন মাসের মধ্যে ব্যবহার করে ফেলা উচিত।

ইউজারদের জন্য যে নতুন সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ

– হাইলাইটারও কনসিলারের মতো ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত নিরাপদ।