জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) ডা. রোমানা শারমিন রূম্পা (৪০) আত্মহত্যা করেছেন।
গত বুধবার গভীর রাতে বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার বাড়িতে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে গুরুতর অসুস্থ হন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান।
শুক্রবার বিকালে বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আত্মহত্যার প্রাথমিক কোনো কারণ জানা যায়নি।
পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও চিকিৎসকরা জানান, ৩৩তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ডা. রোমানা শারমিন রূম্পা বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার মৃত আবদুল কাউয়ুমের একমাত্র মেয়ে। তিনি বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) পদে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ডা. সাজেদুল ইসলাম সুজন বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তাদের সমৃদ্ধি নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আছে।
ডা. রূম্পা পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি ১৯ জুন রাত আড়াইটার দিকে তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট, ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ডা. রূম্পা মারা যান।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা থানা থেকে বার্তা পান অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে অসুস্থ ডা. রোমানা শারমিন রূম্পা মারা গেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হামিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ভাটারা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাকারিয়াস দাস জানান, প্রাথমিক তদন্তে ডা. রূম্পার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ডা. রোমানা শারমিন রূম্পা গত চার বছর এখানে সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সর্বদা হাসিখুশি ও কাজে মনোযোগী ছিলেন। দম্পত্য জীবনেও অনেক সুখী ছিলেন। তার আত্মহত্যার কোনো কারণ ছিল না।
তবে পরিবার থেকে চাচাতো ভাই জানিয়েছেন, তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করতো না। মেয়েকে শাসন করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। আর এতে অভিমান করেই তিনি (ডা. রূম্পা) আত্মহত্যা করতে ঘুমের ট্যাবলেট, প্রেসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য ওষুধ সেবন করেছিলেন।
ডা. কাজল আরও জানান, ডা. রূম্পার মৃত্যুতে শুধু তার পরিবারে নয়; চিকিৎসদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লাশ বগুড়া পৌঁছার পর শুক্রবার রাত ৮টায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সকাল ৮টায় শহরের বৃন্দাবনপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী, কাল মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।